সিপ্লাস ডেস্ক: প্রত্যাশিত জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেছে ৭-০ গোলে। তাতে হার দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করল বাংলাদেশ। সকারুদের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার।
এর আগের দুই দেখায় পার্থে ৫-০ এবং ঢাকায় ৪-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজের দল।
মেলবোর্নের অ্যামি পার্কে ন্যুনতম লড়াইটুকু করতে পারেনি হাভিয়ের কাবরেরার দল। শক্তি-সামর্থ্যে সবদিকেই যোজন যোজন পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সকারুদের আক্রমণের তোপে দাঁড়াতেই পারেনি তারিক কাজীরা।
যেটুকু লড়াইয়ে আশা করেছিল সেটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ দল।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। গুডউইনের ফ্রি কিকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন সাড়ে ছয় ফুট লম্বা ডিফেন্ডার হ্যারি সোটার। বক্সের বাইরে মোহাম্মদ হৃদয় ফাউল করলে ফ্রি কিক পেয়েছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১৫৬ ধাপ এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। হাসান মুরাদ ও কাজী তারিক রায়হান পারেননি রক্ষণ জমাট রাখতে। গোলমুখে মেটক্যাফের বাড়ানো আড়াআড়ি ক্রস ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি মিতুল মারমা। আলতো টোকায় বাকি কাজ সারেন ব্র্যান্ডন বোরেল্লো। মাঝে কয়েকবার বিচ্ছিন্ন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি।
২৪ মিনিটে বারেল্লোর হেড আটকে যায় মিতুল মারমার গ্লাভসে। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলে সকারুরা। কনোর মেটকালফির তুলে দেওয়া বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে হেডে বল জালে পাঠান মিচেল ডিউক। ৪০ মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়ায় স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে থেকে বারেল্লোর শট সাইড পোস্টে প্রতিহত হয়, ফিরতি বলে অনায়াসে জালে পাঠান ডিউক।
মধ্যবিরতি থেকে ফিরেই আবারো সকারুদের উৎসব। বদলি নেমেই স্কোরশিটে নাম তুলেন জেমি ম্যাকলারেন। এরপর ৭০ ও ৮৪ মিনিটে আরো দুই গোল করে হ্যাটট্রিক করেন ম্যাকলারেন। শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বদলি নামা মাসুমো লুঙ্গোর শট ঝাঁপিয়ে ফেরান মিতুল মারমা। শেষ পর্যন্ত বড় হার সঙ্গী করেই ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। আগামী ২১ নভেম্বর বাছাইয়ের পরের ম্যাচে কিংস অ্যারেনায় লেবাননের বিপক্ষে খেলবে জামাল ভুঁইয়ারা।