নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘‘অ বাজি হাইতাম মন চাইলেও কিনিত ন-পারির ‘আলিত্যা’ তরহারি। পটলর দাম বলে ১৫০ টেঁয়া, তিত করলা, ঢেঁড়স এতদিন কিন্যি ৮০ টেঁয়ার দরে। আর আজিয়া কদ্দে ১০০ টেঁয়া। নোয়া কাকরল বলে ৩০০ টেঁয়া। কে-নে হাইয়ূম অবাজি?” (খাইতে মন চাইলেও কেনা যাচ্ছে না আগাম তরকারি)।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে আসা ষাটোর্ধ্ব বয়সী শামসুল আলম কথাগুলো আক্ষেপ করেই বলছিলেন। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এমন মন্তব্য শুধু শামসুল আলমেরই নয়, বাজারে পণ্যদ্রব্যের বাড়ন্ত দাম নিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ক্রেতারা সবার কপালে আবার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে।
নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আগাম চলে আসা কয়েক প্রকারের সবজির দাম বেশ বাড়তি। মৌসুমের আগে বাজারে চলে আসা নতুন পটল কেজি ১৫০ টাকা, কচুর লতি, কচুরমুখী ১০০ টাকা, করলা ১০০, ঢেঁড়স ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিত করলা ১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগাম চলে আসা নতুন আসা কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা-৩২০ টাকায়।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে বেশি দাম পাওয়ার আশায় বাজারে বিক্রেতারা কিছু কিছু নতুন সবজি নিয়ে এসেছেন। মৌসুমের আগে চলে আসায় এসব সবজি ক্রেতাদের নজর যেমন কাড়ছে। তেমনি দামও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি।
বহদ্দারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা ওসমান বলেন, চাষীদের কেউ কেউ পটল কাকরলের মত সবজিগুলো আগাম চাষ করেন। যেমন- সাতকানিয়ার ধর্মপুর, চন্দনাইশের দিয়াকুল, লালুটিয়া এলাকায় পানচাষীরা তাদের পানবরজের মাচাঙে পটলের চাষ করেন। শসার মাচাঙে পটল, কাকরলের চাষ করেন। ফলন বেশি না হলেও এসব সবজি পানবরজে বারোমাস ফলে থাকে। তাদের থেকেই নতুন পটল, কাকরল বাজারে আাসে।
বাজারে চিচিঙ্গা ৫০, ধুন্দল ৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০- ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন, মিষ্টিকুমড়া (কাঁচা) ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা ও গাজর ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা, পেঁপে ফুলকপি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ