অতিরিক্ত বিমান ভাড়ার বড় চাপে হজযাত্রীরা, খরচ কমানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মপ্রাণ মুসলমান নর-নারী আল্লাহর ঘরে গিয়ে পবিত্র ওমরা হজ পালনের নিয়ত করে থাকেন। তবে হজ প্যাকেজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও বিমান টিকিটের চড়া মূল্যের কারণে অনেক হজযাত্রীকে হিমশিম খেতে হয়। বাড়তি খরচ যোগান দিতে না পরায় অনেকের আশা থেকে যায় অপূর্ণ।

সিপ্লাসটিভির অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফ্লাইট স্বল্পতার কারণে এই ওমরা মৌসুমেও সৃষ্টি হয়েছে বিমানের আসন সংকট। যে কারণে বেড়ে যাচ্ছে টিকিটের মূল্য। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন হজ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা।

ফ্লাইট এক্সপার্টের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরব যেতে খরচ হয় ৬৪ হাজার টাকা। অথচ একই ফ্লাইট কলকাতা থেকে খরচ পড়ছে মাত্র ৩২ হাজার টাকা। কলকাতার তুলনায় চট্টগ্রাম থেকে সৌদিআরব যেতে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ৩৩ হাজার টাকা। যা কলকাতার তুলনায় বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের।দ্বিগুনের বেশি খরচ করতে হচ্ছে।

ফলে দ্রুত বিমান সংকট নিরসনসহ টিকিটের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন হজ করতে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষ।

এদিকে, সংকট নিরসনে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কাছে ফ্লাইট বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

তাদের ভাষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকার কারণে ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে ওমরা পালনকারী যাত্রীর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। যার কারণে সৃষ্টি হয় বিমানে আসন সংকট। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িয়ে দেয়া হয় টিকেটের মূল্য- এমনটাই জানালেন আটাব মহাসচিব তাসফিয়া জান্নাত সালেহ।

তিনি বলেন, দুয়েক বছর ধরে একটি প্র্যাকটিস চালু হয়েছে, ব্লাক টিকিট কিনে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিছু এজেন্সি এবং এয়ারলাইন্স এই কাজটি করে। ফলে ওমরা যাত্রীদের টিকিট কাটতে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হয়।

বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে ফ্লাইটের এমন ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণ এবং নিরসনে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তা জানতে কথা হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বুশরা ইসলামের সাথে। তিনি জানান, ওমরা সারাবছরই হচ্ছে। বিমান টিকিটের দাম চাইলে কমানো যায় না। এটা বিমানে হাতে নেই। বিষয়টা একটা বিমানের অপারেটিং ব্যয়ের উপর নির্ভর করে।

তবে কম দামে হজ যাত্রীরা যাতায়াত করতে আগে ভাগে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাভেল জোনের ম্যানেজিং পার্টনার কাজী মোহাম্মদ আব্দুল হক সাহেদ।

চাটগাঁ নিউজ/আব্বাছ/এসএ

Scroll to Top