কামরুল ইসলাম দুলু: সীতাকুণ্ডে চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক একরাম হোসেন হত্যা মামলার ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শাহাদাত হোসেন এর নেতৃত্বে বুধবার ( ২৫ জানুয়ারী) ৪ আসামি যথাক্রমে মোঃ জাহেদ হোসেন (২০), নূর আহাম্মদ (৪০), মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাকিব (২০), এবং মোঃ ইসমাইল হোসেন রানা (২৪) গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে একটি সিএনজি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে দাবীকৃত ৫ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় আসামীরা সিএনজি চালক একরাম হোসেন (২০) কে হত্যা করে। ঘটনার পর নিহত একরাম হোসেন ভাই নুরুল হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় এজাহার দায়ের করে। এরপর হত্যা মামলাটি থানা পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসআই মোঃ শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্ব একটি টিম। বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে গত বৃহস্পতিবার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খান আসামী সাকিব ও রানাকে ৩ দিন এবং নুর আহাম্মদ ও জাহেদ হোসেনকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামীগণ ঘটনার স্বীকারোক্তি জবানবন্ধী দেয়। আসামিদের মধ্যে মোঃ জাহেদ, সাকিব, এবং মোঃ রানা (২৪) তিনজনই সিএনজি চালক আর নুর আহম্মদ সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। শনিবার সকালে ৪ আসামিকে নিয়ে পিআইবি টিম ঘটনাস্থল সীতাকুণ্ডের ফায়ার সার্ভিসের সামনে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে সেই দিনের খুনের বর্ণনামতে মহড়া দেয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, তদন্ত তদারককারী কর্মকর্তা নাজমুল হাসানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইনশৃংখলা বাহিনী। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলাটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে ছায়া তদন্ত করে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ৪ আসামীকে গ্রেফতার করা। তাদের স্বীকারোক্তি মতে ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনের মহড়া করে দেখানো হয় এবং তাদের দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।