সিপ্লাস ডেস্ক: বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি কমে এসেছে ৩৭ ওভারে। বাংলাদেশ তবু অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য একটি উইকেট বাঁচিয়ে রেখে কোনোমতে ইনিংস শেষ করেছে টাইগাররা। ৯ উইকেটে ১৮৮ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস।
তবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য কিছুটা বেড়েছে। ৩৭ ওভারে তাদের করতে হবে ১৯৭ রান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে বৃষ্টির আগে ৩০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৩ রান ছিল বাংলাদেশের। মেহেদি হাসান মিরাজ ৬০ আর তাওহিদ হৃদয় ৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতে না হতেই উইকেট বিলিয়ে দেন হৃদয় (১৩ বলে ৫)। মিরাজ ছিলেন শেষ ভরসা হয়ে। অবশেষে ৮৯ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৭৪ করে ডেভিড উইলির বলে বোল্ড হন এই অলরাউন্ডার।
এরপর আর কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ।
তানজিদ হাসান তামিমের মতো টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটির দেখা পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে তামিম আর মিরাজ দারুণ ব্যাটিং করলেও টপ আর মিডল অর্ডারের বাকিরা করেছেন হতাশ।
লিটন দাস ৫, নাজমুল হোসেন শান্ত ২, মুশফিকুর রহিম ৮ আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হয়েছেন ১৮ রান করেই।
বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে বাংলাদেশের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। গুয়াহাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম দুই ওভারেই ১৮ রান তুলে নেয় টাইগাররা। কিন্তু তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেট দিয়ে আসেন লিটন দাস। রিস টপলের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়ে ফেরেন লিটন (৬ বলে ৫)।
টপলের পরের ওভারে উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক শান্তও। ১১ বলে ১ করে ডিপ থার্ডম্যানে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর তানজিদ তামিম আর মেহেদি হাসান মিরাজ গড়েন ৫২ রানের জুটি। তানজিদ আগের ম্যাচে খেলেছিলেন ৮৪ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে পারেননি।
এবার ফিফটির কাছে এসে হতাশ হয়ে ফেরেন তামিম। তার দারুণ এক ইনিংসের সমাপ্তি ঘটেছে মার্ক উডের গতিময় এক ডেলিভারিতে। উডের বলটি ইনসাইডেজ হয়ে ভেঙে যায় স্টাম্প। ৪৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ৭টি চার আর ১টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ওপেনার।