হাটহাজারীতে কুপিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনায় মামলা,আটক ৩

Facebook
WhatsApp
Twitter
Print

হাটহাজারী প্রতিনিধি: হাটহাজারীর মির্জাপুরে সুমন নামে একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটক এম এ সালাম কালা বাদশা পাড়া শামসু ডাক্তার বাড়ির মরহুম শামসুল আলম প্রকাশ শামসু ডাক্তারের পুত্র। সে মির্জাপুর জয়নুল উলুম (আলিম) মোমেনীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। আটক অপর দুজনের মধ্যে মোমেন এলাহী প্রকাশ কালু’র স্ত্রী শিবলী আক্তার এবং শেখ আহম্মদ ডাঃ এর বাড়ির মৃত লতু মিস্ত্রির পুত্র ইকবাল।

জানা গেছে, এ ঘটনায় সোমবার হাটহাজারী মডেল থানায় আহতের বড় ভাই লিটন বাদী হয়ে নামীয় নয় ও অজ্ঞাত চার পাঁচজনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। আহতের এখনো জ্ঞান ফিরে আসেনি জানিয়ে লিটন জানান, চমেকে ভর্তির পর এ পর্যন্ত নয় ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, উপজেলার মির্জাপুরে সুমন (৩৭) নামে একজনকে রোববার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কালা বাদশাহ পাড়া শফি মাষ্টারের বাড়ির সংলগ্ন পুকুর পাড়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সে ওই বাড়ির শফি মাষ্টারের পুত্র। আহত সুমনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একই এলাকার শেখ আহম্মদ ডাঃ এর বাড়ির মৃত লতু মিস্ত্রির পুত্রদের সাথে পারিবারিক দ্বন্দ চলছিল।

দ্বন্দের সূত্র ধরে, বিগত ২১ সালে (১৭ ডিসেম্বর) সুমন বাহিনী মৃত লতু মিস্ত্রির পুত্র হোসেন এলাহী প্রকাশ বাচাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা এবং মোমেন এলাহী প্রকাশ কালুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছিল। মূলত ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়েছে বলে ধারনা করছে প্রশাসনসহ স্থানীয়রা। তারা পরস্পর চাচাত জেঠাত ভাই।

Scroll to Top