কক্সবাজার প্রতিনিধি: আজ সকাল ১১ টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ গতকাল তার সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন,তার সাথে ছিলেন গতকাল হামলায় আহত রামু জোয়ারিয়া নালার চেয়ারম্যান প্রিন্স শামসুদ্দিন সহ আরো কয়েকজন।
তিনি বলেন গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালার মাদ্রাসা গেইটে আমি ও প্রচারণার অন্যরা ঈগল প্রতীকের প্রচারনা চালাচ্ছিলাম। এ সময় গাড়ি নিয়ে সেখানে আসে নৌকার প্রার্থী এমপি কমল ও তার কয়েক গাড়ি নেতাকর্মী। এমপি তার গাড়ি থেকে নেমে লাঠি হাতে এগিয়ে এসে আমাকে মারধর শুরু করেন এবং তার সাথে আরো ১০-১২ জন মিলে আমার গায়ে থাকা মুজিব কুট টেনে হিছড়ে ছিড়ে ফেলেন,এমতাবস্থায় জনগণ এবং ঈগলের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রথমে এমপি কমল নিজে আকাশের দিকে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এর কারণে ভয়ে আমার লোকজন পিছু হটে যায়।এমতাবস্থায় কক্সবাজারের ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রতিবাদ করলে তার বুকেও গুলি ধরে এমপি কমলের লোকজন।!
এ সময় সাধারণ জনগণ এগিয়ে এলে এমপির সঙ্গে থাকা ইমরান হোসেন, খোকন, মোবারক হোসেন গুলি ছোড়ে।
এই হামলায় আমি নিজে সহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ও চালিয়েছে এমপি কমলের লোকজন।
তিনি বলেন গতকাল আমি ভারোয়াখালী সমাবেশে যাওয়ার সময় জোয়ারিয়া নালার চেয়ারম্যান প্রিন্স আমাকে রিকোয়েস্ট করলে আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সাথে কথাবার্তা বলে আমার সমাবেশ স্থল ভারুয়া খালিতে চলে যায়।
যাওয়ার ৩০ মিনিট পরে আমার কাছে ফোন আসলো প্রিন্স সামসুদ্দিন এর উপর গুলি করা হয়েছে,তখন আমি তাড়াতাড়ি খবর নিয়ে দেখলাম চেয়ারম্যান প্রিন্স নিহত হয়নি তবে আহত হয়েছে।
তাকে এমপি নিজে সহ তাঁর সাথে আরো ১০-১২ জন সহযোগী মিলে খুব পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করেছে এবং তার সাথে আরো ৫-৬ জন আহত হয়েছে।এমপি কমলের লোকজন ১৪/১৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ও অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছে,লোকজনকে আর বলেছে আমার কাছে যা আছে তা দিয়ে আমি গুলি করলে অন্তত ১০ জন মারা যেত, এই কাজ ওনি কখনোই করতে পারেননা এ টি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন।এর আগেও আমার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ছেড়া থেকে শুরু করে আমার প্রচারণা গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়ির ড্রাইভারকে মারধর করে কোমরের হাড্ডিসহ ভেঙ্গে দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
ঘঠনাস্থলে জনগন এবং ঈগলপ্রতিকের সমর্থকরা রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু তাহের এবং ইউএনও কে গাড়ি ভর্তি অস্ত্র দেখিয়ে দিলেও পুলিশ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা না নিয়ে গড়িমসি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে গাড়ি তল্লাশি করেনি,এতে লোকজন প্রশাসনের উপর আস্তা হারাচ্ছে ও ভীতিতে নিপতিত হচ্ছে,এবং লোকজন ভোট দিতে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে বলে আমার মনে হচ্ছে।যেহেতু তাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করার পরও প্রশাসন তৎক্ষণাৎ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।তিনি বলেন আমি আরো একটি বিষয় বলতে চাই সেটি হচ্ছে প্রিন্সের গায়ে থাকা মুজিব খুব সেটি তার মুজিব কোট নয় সেটি বঙ্গবন্ধু আদর্শ লালনের একটি প্রতীক ,সেটি ছেড়া মানে আওয়ামী লীগের আদর্শে আঘাত করা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন রামু থানার ওসি এবং ইউএনও বারবার কমলের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে,তাদের লক্ষ্য করে ব্যারিস্টার মিজান সাইদ বলেন,তিনি আগের সাংসদ বর্তমানে তিনি সাবেক সাংসদ এটা প্রশাসনের বোঝা উচিত।এবং আরোও বলেন এখন নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের পরীক্ষার সময়।
সর্বোপরি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এবং নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে আরো সোচ্চার এবং বেআইনি কাজের প্রতি লক্ষ্য রেখে কাজ করতে আহবান জানিয়ে তিনি তার ব্রিফিং শেষ করেছেন।