সেন্ট মার্টিনে পা পড়েনি কোনও প্রার্থীর

চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচনের মাঠে দেশের আনাচ-কানাচ জুড়ে জমপেশ প্রচার প্রচারণা চললেও দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে নেই কোনো ভোটের আমেজ। সারা সেন্ট মার্টিন জুড়ে প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার চোখে পড়লেও এখন পর্যন্ত কোনও প্রার্থীকে সরাসরি প্রচারণার মাঠে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন এই দ্বীপের বাসিন্দারা।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট সাতজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন,
নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার,

  • ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর,
  • লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন,
  • আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুল আলম,
  • সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক,
  • মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী এবং
  • ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল।

এবারের নির্বাচনী মাঠে ৭টি প্রতীক থাকলেও নির্বাচনে মাঠে মূলত লড়াই চলবে নৌকার সঙ্গে ঈগলের। ইতিমধ্যে এই দুই প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা নিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। ভোটকেন্দ্রে না যেতে সেন্ট মার্টিনেও ঘরে ঘরে গিয়ে নারী-পুরুষ ভোটারদের নিষেধ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিলি করছেন প্রচারপত্র। দ্বীপের অর্ধেকের বেশি ভোটার বিএনপি সমর্থক। এ আসনে ভোটারসংখ্যা ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭১। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪১।

বঙ্গোপসাগরে ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের লোকসংখ্যা ১১ হাজার ৩০০। ভোটারসংখ্যা ৩ হাজার ৭০২। ভোট গ্রহণের সময় ঘনিয়ে এলেও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সাতজন প্রার্থীর কারও পা পড়েনি। তাতে ক্ষুব্ধ এলাকার ভোটাররা। ভোট নিয়ে আগ্রহ নেই কারও।

চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন

Scroll to Top