সিপ্লাস ডেস্ক: ছোট পুঁজি নিয়েও বল হাতে দারুণ লড়লো বাংলাদেশ, ম্যাচ গড়ালো শেষ ওভারে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ৩ রান। ৬ বলে ৩ রান, এ আর এমন কী! কিন্তু শেষ উইকেট বলে আশা ছিল বাংলাদেশেরও। ফাহিমা খাতুন শেষ ওভারে ২ রান খরচায় পাকিস্তানের শেষ উইকেট তুলে নেন, ম্যাচ হয় টাই।
এরপর সুপার ওভারের রোমাঞ্চ। এখানেও দল নাহিদার ওপর ভরসা রাখে। ভরসার প্রতিদানও দেন বাঁহাতি এই স্পিনার। সুপার ওভারে ৭ রান খরচা করেন তিনি, নেন ২ উইকেট। চার মেরে সুপার ওভার শুরু হয় বাংলাদেশের। কিন্তু পরের চার বলের দুটি ডট, হারাতে হয় একটি উইকেটও। শেষ বলে চার মেরে দলকে জেতান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ওভারে পাওয়া রোমাঞ্চকর এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা আনলো বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগামী ১০ নভেম্বর মিরপুরেই মুখোমুখি হবে দুই দল।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। বড় জুটি না হলেও শুরুর দিকে প্রায় সব ব্যাটারই রানের দেখা পান। কিন্তু শেষ দিকের বিপর্যয়ে ৯ উইকেট ১৬৯ রান তোলে স্বাগতিকরা। ম্যাচসেরা নিগার ১০৪ বলে ৩টি চারে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন।
৮৮ বলে ৩টি চারে ৪০ রান করেন ফারজানা হক। এ ছাড়া মুর্শিদা খাতুন ১২, সোবানা মোস্তারী ১৬ ও ফাহিমা খাতুন ১৬ রান করেন। এদের বাইরে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল ও নাশরা সান্দু ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ডায়ানা বেগ, নিদা দার ও উম-এ-হানি।
লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ব্যাটার ভালো শুরু করেও ৩০ রানের গন্ডি পেরোতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন সাদাফ শামস। সিদরা আমিন ২২, আলিয়া রিয়াজ ২১, অধিনায়ক নিদা দার ২৭, ইরাম জাভেদ ১৫, নাজিহা আলভি ২২, ডায়ানা ১৪ ও উম-এ-হানি ১১ রান করেন। বাংলাদেশের রাবেয়া খান ১০ ওভারে ২৯ রানে ৩টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মারুফা, নাহিদা, নিশি ও ফাহিমা।