চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের ২৭ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
হত্যার চেষ্টা, বাড়ীঘর ভাঙচুর, অপহরণ করে চাঁদা আদায় সহ বিভিন্ন অভিযোগে আজ সোমবার (১৯ আগণ্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শহিদুল ইসলাম এর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন রাউজান ১১ নং পশ্চিম গুজরা (মগদাই) এর সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দৌলা।
আদালত অভিযোগ শুনানীর জন্য নথিভুক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে পরে শুনানী হবে বলে আদালতের পেশকার জয়নাল আবেদিন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
বাদীর আইনজীবী সবুজ তালুকদার বলেন, আদালত বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম শাহাবুদ্দিন, সুজাতুল ইসলাম, টনি বড়ুয়া, লিটন দে, মো. আনোয়ার ও মোহাম্মদ মাসুদ। তাঁরা ফজলে করিমের সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত বলে জানান বাদী।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আসামি ফজলে করিমের নির্দেশে বাদীকে অপহরণ করে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। ওই সময় বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালান আসামিরা।
পরে বাদীকে দূরে একটি ঘরে আটকে রেখে চুল–দাড়ি কেটে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ফজলে করিমের কাছে পাঠান আসামিরা। এরপর রাতে অস্ত্র-গুলি এনে দেওয়া হয় বাদীকে। পরদিন সকালে পুলিশকে খবর দিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ বাদীকে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অস্ত্র মামলায় বাদীকে পাঠানো হয় কারাগারে।
মামলার বাদী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দৌলা বলেন, তাঁকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন আসামিরা। পরে তাঁকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। আসামিদের হাত থেকে বাঁচতে চাঁদাও দেন। এরপরও রেহাই পাননি।
সিরাজউদ্দৌলার দাবি, তাঁর মতো রাউজানের শত শত মানুষ ফজলে করিমের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। এত দিন তাঁরা কেউ মুখ খুলতে পারেননি। এখন তাঁরা ফজলে করিমের বিচার চান।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস