নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোগ্যপণ্যের দাম প্রতিদিনই চক্রবৃদ্ধি সুদ হারের মতো বাড়ছে। সংসার চালাতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ। নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দাম চরমে পৌঁছেছে। ভরা মৌসুমে লাগামহীন দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি।
বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
পাকা টমেটোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৩০-৫০ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ১১০-১৪০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৭০-৯০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০-১১০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
স্থানভেদে কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শিম ৮০-১০০, ঝিঙা ৭০-৯০, কচুর লতি ৭০-৯০ টাকা, কচুর মুখী ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৫০-৬০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়ার পিস ৪০ থেকে ৭০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ২০-৩০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও কথা শুনছে না কেউ। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বর্তমানে ৭৫০ টাকা কেজি, কোথাও আরও বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে স্থানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
নগরীর বকশির হাট ও সাব-এরিয়া মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ