চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দারুণ করেছিলেন বোলাররা। লঙ্কানদের অল্পরানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাট হাতে দারুণ করেছে বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমের দুর্দান্ত ইনিংসের পর রিশাদের ঝড়ো ইনিংসে বড় জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে টাইগারদের দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয় এটি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষটিতে সোমবার সকালে টসে জিতে আগে ব্যাটে নামে শ্রীলঙ্কা। স্রোতের বিপরীতে ছুটে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৫ রানের মাঝারি পুঁজি এনে দেন জানিথ লিয়ানেগে। জবাবে নেমে ৫৮ বল ৪ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বহুল ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। চোট ও কনকাশনের ঘটনা ঘটেছে, দুই খেলোয়াড়ের সংঘর্ষে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে একজনকে, হাসপাতালে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে, সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে এসে বদলে গেছে মাঠ আম্পায়ারও।
প্রথম ইনিংসে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কেটলবরো। প্রচুর গরমের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠের দায়িত্ব পালন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তার পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করেন চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদ।
একটি কনকাশন সাব এসেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪৯তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান সৌম্য সরকার। প্রথমে বাঁ-হাঁটুতে ব্যথা পান এবং বিজ্ঞাপন বিলবোর্ডে ধাক্কা লেগে আঘাত পান ঘাড়ে। মাথাব্যথা ও দেখতে সমস্যা হচ্ছিল টাইগার ওপেনারের। পরে কনকাশন সাব হিসেবে তানজিদ তামিম নামেন উদ্বোধনীতে।
সৌম্য সরকারের চোটের কয়েক মিনিট পর আরেকটি ঘটনা ঘটে। ৪৯.৫তম ওভারে প্রমোদ মাদুশানের ক্যাচ নিতে যান অনিক ও বিজয়। বিজয়ের কাঁধের সাথে আঘাত লাগে অনিকের মাথায়। দীর্ঘসময় মাঠে শুয়ে থাকার পর স্ট্রেচারে বাইরে নিতে হয় তাকে। পরে তাকে হাসপাতালেও নিতে হয় অনিককে।
স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ার ঘটনা দেখতে হয় আরও একটি। ৪৭.১ ওভারে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ের সময় মাসল-ক্রাম্প হওয়ার কারণে নিজের শেষ ওভারে একটি ওয়াইড বল করে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরে ওভারটি শেষ করেন সৌম্য সরকার।
রানতাড়ায় নেমে টাইগারদের উড়ন্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকারের কনকাশন সাব হিসেবে নামা তামিম। হঠাৎ সুযোগ পেয়ে ব্যাট হাতে দারুণ করেছেন তরুণ ওপেনার। লম্বা ইনিংস খেললেও অবশ্য প্রথম সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়িয়ে মাঠ ছেড়েছেন। দারুণ খেলতে খেলতে উইকেট ছুঁড়ে ফিরে গেছেন ৮৪ রানে।
রান তোলায় কিছুটা মন্থর ছিলেন তামিমের সঙ্গী এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান তোলেন দুজনে। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে লাহিরু কুমারার শিকার হন বিজয়। ২২ বলে ১২ রান করে যান।
ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১তম ওভারে কুমারার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৫ বলে ১ রান করে যান টাইগার অধিনায়ক। ২১.৪ ওভারে ১০৫ রানে তাওহীদ হৃদয়কে ফেরান লাহিরু কুমারা। ৩৬ বলে ২২ রান করে যান তিনি। ব্যর্থ হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ২৩.১ ওভারে ৪ বলে ১ রান করে কুমারার চতুর্থ শিকার হন।
একপ্রান্ত ভালোভাবেই আগলে রেখেছিলেন তানজিদ তামিম। ৫১ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। পরেও দারুণ ব্যাট করছিলেন। তাড়াহুড়াও দেখা যাচ্ছিল। ২৫.৫ ওভারে হাসারাঙ্গার বল উড়িয়ে মারেন। লংঅনে বাউন্ডারি লাইনের কাছে ধরা পড়েন চারিথ আশালাঙ্কার হাতে। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮১ বলে সাজানো ইনিংস খেলে ফিরেছেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ