শিশু আয়াত হত্যা, পিবিআইয়ের প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরের ইপিজেড থানা এলাকায় ৫ বছরের শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় একজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র ও এক কিশোরকে দোষীপত্র করে আলাদাভাবে আদালতে প্রতিবেদনে দাখিল করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রোববার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টোর পরিদর্শক মনোজ কুমার দে।

আসামিরা হলো, নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে আবীর আলী। তাদের বাড়ি রংপুর জেলায়।

অন্যজন এক কিশোর। ওই কিশোরকে ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিকেলে নগরের বন্দরটিলা নয়ারহাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কিশোর আয়াতের বাসার কাছে একটি হোটেলে কাজ করতেন।

পিবিআই পরিদর্শক মনোজ কুমার দে  গণমাধ্যমকে বলেন, ইপিজেড থানার ৫ বছরের শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় আবীর আলীকে আসামি করে ও এক কিশোরকে দোষীপত্র করে আলাদাভাবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

৩০২/২০১ (খুন ও মরদেহ গুম) ধারায় আবীর আলীকে এবং ২০১ (মরদেহ গুম) ধারায় অপর কিশোরটির বিরুদ্ধে দোষীপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ড ও মরদেহ কেটে গুম করার পরিকল্পনা ও ঘটনা জেনেও গোপন রাখায় ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরের বিরুদ্ধে দোষীপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তরুণের বাবা-মা ও বোনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযোগপত্র ও দোষীপত্র মিলিয়ে ৩৫৭ পৃষ্ঠার নথি জমা দেওয়া হয়েছে। মামলায় ৫০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর নগরের আউটার রিং রোডের আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন স্লুইচ গেইটের এক গর্ত থেকে আয়াতের দুই পা এবং পরদিন খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করে পিবিআই। এ ঘটনায় আয়াতের বাবা নগরের ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় তার সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর গত ২৪ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এরপর একই মামলায় গত ২ ডিসেম্বর আবিরের বাবা ও মাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৩ ডিসেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আবীর আলী। ওই বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা যাবত ১৭ পৃষ্টার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবীর আলী।

Scroll to Top