শাহজালালে প্রবাসীর উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রসাস

ইউএই প্রতিনিধি : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নরওয়ে প্রবাসী সাঈদ উদ্দিনের ওপর হামলায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস)। প্রবাসীদের সাথে বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এমন ঘটনা প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি ইউএই বাংলাদেশ সরকারকে এই ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার এবং দোষীদের দায়ী করে উপযুক্ত বিচারের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া এবং ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের শারীরিক,মানসিক আঘাতের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রসাস ইউএইর সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক এম আব্দুল মান্নান, সহসভাপতি নাসিম উদ্দিন আকাশ, মোহাম্মদ ছালা উদ্দিন, মঈনুল ইসলাম শামীম, ওবায়দুল হক মানিক, নুরুল্লাহ খান শাহাজাহান, মোহাম্মদ সেলিম, মাহাবুব সরকার প্রমুখ এতে স্বাক্ষর করেছেন।

প্রসাস ইউএই বাংলাদেশ সরকারকে জরুরিভাবে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, কমিটিতে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএ) প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি সিআইপি ওয়ার্ল্ড) সম্প্রদায়ের অন্তত দুই সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তদন্ত প্রতিবেদনটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রকাশ করা প্রয়োজন।

প্রসাস ইউএই প্রবাসীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি নীতি সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, ভুক্তভোগীদের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং প্রবাসীদের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পক্ষে সমর্থন করা।

প্রসাস ইউএই জানায়, নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরা (এনআরবি) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে দেড় কোটিরও বেশি বাংলাদেশি বিদেশে বসবাস করছে। ২০২৩ সালে আনুমানিক ১৩ লাখ বাংলাদেশি কাজের জন্য বিদেশে গেছে, যার মধ্যে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও আরব আমিরাত শীর্ষে।

প্রবাসীরা ২০২৩ সালে রেকর্ড ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এই রেমিট্যান্সগুলো বাংলাদেশের অনেক পরিবারের জন্য একটি লাইফলাইন এবং দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি 

Scroll to Top