চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় দুই বছর বয়সী এক শিশু ও তার বাবাসহ অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— বাবুল হোসেন (৪০) ও তার ছেলে রাহিত (২), মাহিম আহমেদ পিয়াস (১৭), মনিরুল ইসলাম (২০), ফয়সাল (৩০) ও সোহাগ (২৫)। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
হাসপাতালে আহত শিশু রাহিতের মা লিপি আক্তার জানান, তাদের বাসা শনির আখড়া বর্ণমালা স্কুলের পাশে। পাঁচ তলা একটি বাড়ির নিচতলায় থাকেন তারা। সন্ধ্যায় তাদের বাসার সামনের রাস্তায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। শিশুটি বাসায় কান্নাকাটি করতে থাকায় তার বাবা কোলে নিয়ে বাসার কলাপসিবল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাস্তার পরিস্থিতি দেখছিলেন। তখন পুলিশের শটগানের গুলি শিশুটির বাবার মুখ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। কোলে থাকা শিশু রহিতের ডান হাত ও বুকেও গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুলিবিদ্ধ অন্যদের মধ্যে মাহিম আহমেদ পিয়াস জানায়, সে দনিয়ায ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিকেলে কোচিং শেষ করে বাসায় ফিরছিল। এ সময় শনির আখড়া এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গেলে শটগানের গুলিতে সে আহত হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শনির আখড়া থেকে ছয়জন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাচ্চু মিয়া আরও জানান, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত অন্তত ৫২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে আন্দোলনকারী ছাড়াও ছাত্রলীগ সদস্য, পুলিশ ও সাংবাদিকও রয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ