আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারায় শঙ্খ নদীর ধারে পড়েছিল নুর বশর (৫০) নামের এক রাখালের লাশ। এ ঘটনায় হত্যা সন্দেহে মো. ইসমাইল নামের নুর বশরের এক সহকর্মীকে আটক করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ।
আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১২টার দিকে শঙ্খ নদী থেকে গলায় রশি লাগানো লাশটি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত নুর বশর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ইন্নে আমিনের ছেলে। পরে ঘটনায় অভিযুক্ত সহকর্মী মো. ইসমাইল (৪৫)কে আটক করেছে পুলিশ। সে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বড়দিল ইউনিয়নের আনার উল্লাহ’র ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবুল বশর ও অভিযুক্ত ইসমাইল আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের দক্ষিন ইছাখালি গ্রামের ফকিরার চর এলাকর মোহাম্মদ হাসানের গরুর খামারে কাজ করতেন। দুজনের মধ্যে খামারের কাজ নিয়ে প্রায় সময় কথা-কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়।
আজ সোমবার সকালে শঙ্খ নদীর পাড়ে নুর বশরের লাশ স্থানীয় এক ব্যক্তি দেখতে পায়। খবর পেয়ে খামারের মালিক হাসান পুলিশকে জানালে নদীর পাড় থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খামারের মালিক মো. হাসান জানান, দুইজন আমার গরুর খামারে কাজ করতেন। খামারে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রায় সময় দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হতো। রবিবার রাত ১২টার দিকে ইসমাইল ফোন করে জানান বশর খামারে নেই। তখন আমি চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম। কিন্তু সকালে শঙ্খ নদীর পাড়ে বশরের লাশ দেখতে পেয়ে এক ব্যক্তি আমাকে ফোন করে জানান।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, সোমবার সকালে শঙ্খ নদীর পাড় থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার অভিযুক্ত সহকর্মী ইসমাইলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/ এসআইএস