নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে চট্টগ্রাম ১১ তে দলীয় প্রার্থী এম এ লতিফের পক্ষে অবস্থান জানান দিলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের একাংশ।মহানগরের সিনিয়র সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যরা মিছিল সহকারে অবস্থান স্পষ্ট করেন মঙ্গলবার। অন্যদিকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগের একাংশ ও কিছু নেতারা দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনকে সমর্থন দিলেও প্রকাশ্যে আসছেন না। সুমন ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা জনপ্রিয় নেতা।
জানা গেছে, এমএ লতিফ সংসদ সদস্য হওয়ার পর বড় নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। এবার আবার তা প্রকাশ্যে আসে চতুর্থ বার মনোনয়ন পাওয়ার পর। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) বড় অংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনকে সমর্থন দিয়েছেন। এই তিন বড় নেতাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হকের সমর্থনে প্রচারণা সভায় অংশ নিতে দেখা যায়নি। আ জ ম নাছির উদ্দিন শুরুতে প্রকাশ্যে সুমনের পক্ষ নেয়ার বিষয়টি সমালোচনার ঝড় উঠায় প্রকাশ্যে গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশ না নিলেও গোপনে সুমনে পক্ষে কাজ করছেন বলে কানাঘুষা চলছে। তবে সুমন চাটগাঁ নিউজকে বলেছেন, আমিতো এমপি পদপ্রার্থী একা সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়নি। আমার মুরুব্বীরা আমাকে গাইড করছেন।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, নগর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সবাইকে পাশে না পেলেও এম এ লতিফের ভরসা পুরোনো ভোটব্যাংক আর ব্যক্তিগত ইমেজ। তিনি ‘স্বাধীনতা নারী শক্তি’ নামে নারীদের একটি সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন। আবার নিম্ন আয়ের মানুষকে কম মূল্যে খাদ্যসহায়তাসহ নানা কর্মসূচি চালু রেখে ‘ভোটব্যাংক’ শক্ত করেছেন বলে মনে করছেন ভোটাররা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রেকর্ড না থাকায় কিছুটা সুবিধাজনক পরিস্থিতিতেও আছেন তিনি। এম এ লতিফ চাটগাঁ নিউজকে বলেন, এমপি ছিলাম তিনবার কিন্তু আমার এলাকায় আমি পুলিশ প্রটোকল ব্যবহার করি না। যা করেছি রাজনৈতিক কূটনীতি দিয়ে করিনি, আন্তরিকতা দিয়ে করেছি যা এলাকাবাসী জানেন।
অন্যদিকে জিয়াউল হকের বড় ভরসা শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তি। তিন বড় নেতা তাঁকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তা ছাড়া ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি তিনি, যেখানে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে। তাঁর পক্ষে আছেন বাকি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বড় অংশও।
বন্দর-পতেঙ্গাকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে ধরা হয়। এখানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, টানেল, জ্বালানি পরিশোধন কারখানাসহ রাষ্ট্রীয় বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কি-পয়েন্ট ইনস্টলেশন বা কেপিআই) রয়েছে। সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ পরিবহন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। অর্থাৎ সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও জ্বালানির কেন্দ্রবিন্দু এই এলাকা।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ