লতিফের হুংকার—সুজন্যা এডে কিল্লাই আস্যি, ইতার হাম কি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর গোসাইলডাঙ্গা শ্মশানকালী মন্দিরে মহানগর আওয়ামী লীগের তিন নেতা গেছেন শুনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফ তাদের গালাগাল করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। মধ্যরাতে বাসা থেকে বেরিয়ে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান লতিফ। সেখানে নেতাদের না পেলেও প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের কয়েকজন কর্মীকে নাজেহাল করেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নগরীর বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় উত্তেজিত হয়ে এম এ লতিফ বলেন, সুজন্যা এডে কিল্লাই আস্যি, ইতার এডে হাম কি, নাছিররে তোরা এডে কিল্লাই আইন্যূস (সুজন এখানে কেন এসেছে, উনার এখানে কাজ কী, নাছিরকে তোরা এখানে কেন এনেছিস)। একপর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের কয়েকজন কর্মীকে শাসাতে থাকেন। সেটা দেখে অনেকে সেখান থেকে পালিয়ে চলে যান।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গোসাইলডাঙ্গা শ্মশানকালী মন্দিরে যান। সেখানে তারা প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করেন। এ সময় সংখ্যালঘু ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার অনুরোধ করেন তারা। তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি তারা বক্তব্য দেননি।

এদিকে তিন নেতা যাবার খবর পেয়ে শ্মশান কালীমন্দিরের পাশে জিয়াউল হক সুমনের নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে তার অনুসারীরা বেরিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। তখন তিন নেতা সুমনের ক্যাম্পে গিয়েও কিছু সময় বসেন।

সুমনের কর্মী এক ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নাছির ভাইয়েরা চলে যাবার কিছুক্ষণ পর এমপি সাহেব (এমএ লতিফ) শ’খানেক কর্মী নিয়ে গোসাইলডাঙ্গা রামকৃষ্ণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে আসেন। সেখানে আমরা নেতাদের বিদায় দিয়ে সুমন ভাইয়ের ক্যাম্পে ফিরছিলাম। তখন এমপি সাহেব আমাদের দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

সুমনের পক্ষে গোসাইলডাঙ্গা রামকৃষ্ণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এক নেতা বলেন, ‘উনি (লতিফ) এসেই গালিগালাজ শুরু করেন। সুজন্যা এডে কিল্লাই আস্যি, ইতার এডে হাম কি, নাছিররে তোরা এডে কিল্লাই আইন্যূস? বলে আমাদের এক কর্মীর গায়ে হাত দিয়ে শাসাতে থাকেন। সেটা দেখে আমাদের কর্মীরা অনেকে পালিয়ে সেখান থেকে চলে যান।’

‘পরে তিনি আমাদের ক্যাম্পে আসেন। সেখানে তখন কেউ ছিলেন না। একজনের হাতে কিছু কেটলির লিফলেট ছিল। সেগুলো নিয়ে ফেলেন। এমপি সাহেবের কর্মীদের কয়েকজন ক্যাম্পে পাথর ছুঁড়ে মারেন। ক্যাম্পেও এমপি সাহেব গালিগালাজ করেন।’

অভিযোগের বিষয়ে এম এ লতিফের নির্বাচন সমন্বয়ক যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, ‘রাতে সুজন ভাইয়েরা গোসাইলডাঙ্গা গিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাবার জন্য হুমকিধমকি দেন। খবর পেয়ে লতিফ সাহেব নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে যান। এসময় তিনি ভোটারদের হুমকিধমকিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বলেন এবং ভোটকেন্দ্রে যাবার অনুরোধ করেন। এখানে অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top