রোয়াংছড়িতে শনাক্ত হলো কেএনএফ এর ৭ টি বাঙ্কার

চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘদিনের সহিংসতার পর বান্দরবানের রুমায় মুখোমুখি বৈঠকে সামিল হয় নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। গত বছরের ৫ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান অরাজকতার নিরসনের আলো দেখা গেলেও নতুন করে আবারো সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রতি জেলার রোয়াংছড়ি ঘুরতে আশা দুই জন প্রবাসী পর্যটকের অভিযোগ তাদের কাছ থেকে বালু পাহাড় এলাকা হতে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় কেএনএফ সদস্যরা। এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ পারভেজ আলী বলেন, “কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ”

এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১১ই জানুয়ারি) এলাকায় টহল জোরদার করে সেনাবাহিনী, সকালে নিরাপত্তা টহল কালে রোয়াংছড়ি হতে ৩ কিলোমিটার দুরুত্বে বালু পাহাড় এলাকার পাহাড়ে কেএনএফ এর অবস্থান সনাক্ত করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পাহাড়ের ঢালু বেয়ে পালিয়ে যায়,পরে উক্ত স্থানে অভিযান আবিস্কৃত হয় ৭ টি বাঙ্কার। যেখানে কেএনএফ সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থান করছিলো এবং বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিলো বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির অন্যতম সদস্য রেভা পাকসীম বি.ত্লুং জানান, “শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখোমুখি বৈঠকের পর এলাকায় বসবাসকারী সকলে খুবই আনন্দে দিন কাটাচ্ছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যি দুঃখ জনক,তিনি জানান এ বিষয়ে বম স্যোশাল কাউন্সিল এর সভাপতি লালজার লম বম এর মাধ্যমে কেএনএফ প্রধান নাথান বম এর সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি”।

পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা কে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে আলোচনা ও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওই এলাকা গুলোতে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারো নতুন করে আলোচনায় আসছে কেএনএফ এর নাম। এলাকায় নতুন করে কেএনএফ আতংকের বিষয়ে পাইখং পাড়া কারবারি বৈথাং বম বলেন দীর্ঘ এক বছরের সহিংসতার অবসান হয় শান্তি আলোচনার মাধ্যমে, নতুন করে কেএনএফ এর এ ধরনের কর্মকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।

চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন

Scroll to Top