সিপ্লাস ডেস্ক: পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তার পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কার্যভার গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী তার দায়িত্বের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল।
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে পদটি শূন্য হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আছে।
সংবিধানের এসব বিধানের আলোকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে আগামী ২৪ জানুয়ারি। ভোট গ্রহণ করতে হবে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি।
ভোট গ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তখন বর্তমান রাষ্ট্রপতি একক প্রার্থী থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
এর পর মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ওই বছর ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আর এ পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সংবিধানের নির্দেশনা মেনে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে সম্পন্ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির ১৯ বা ২০ তারিখকে ভোটগ্রহণের তারিখ হিসেবে চূড়ান্ত করে ৪ বা ৫ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা হতে পারে।