রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কুকুরের কামড়ে একদিনে ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর হওয়ায় তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার কুলকুরমাই, ইছামতী ও উপজেলার মরিয়মনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একটি কুকুর রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার কুলকুরমাই, ইছামতী ও উপজেলার মরিয়মনগর এলাকায় ঘুরে বয়ষ্ক নারী—পুরুষ ও শিশুদের কামড়ে আহত করে। প্রথমে সকালে পৌরসভার কুলকুরমাই এলাকায় কুকুরটি ঢুকে এলাকার টিটু দে (৩৫), প্রদীপ দে (৬৫), অনু দে (৬০), রাজু দে (৪৫), নন্দিতা দে (৮), নির্মল দে (৬৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জনকে মাথা , হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড় দিয়ে আহত করে। এরপর মরিয়মনগর ইউনিয়নের ফুলগাজী পাড়া ও রশিদিয়া পাড়ায় আবু তালেবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জনকে আহত করে। পরে বিকেলের দিকে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছামতী এলাকায় আরো দুইজনকে কামড় দিয়ে আহত করে।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার কুলকুরমাই গ্রামে জিতু দে বলেন, “ আমি দেখেছি কুকুরের কামড়ে অধিকাংশদের মাথা,মুখে ও হাতে জখম হয়। শুনেছি কয়েকজনকে চট্টগ্রাম সংক্রামকব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু বলেন,“ কুকুরের কামড়ে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুনেছি, কুকুরটিকে স্থানীয়রা পিঠিয়ে মেরে ফেলেছে।”
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আরমান বলেন,“ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে ১৮ জন শিশু, নারী ও পুরুষকে কামড় দিয়ে আহত করে। অধিকাংশদের মুখ, মাথা ও হাতে জখম হয়। গুরুতর আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গেল এক মাসে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কুকুরে ব্যাপক আহত ঘটনা ঘটেছে। আহতের তালিকায় রয়েছে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত। সম্প্রতি উপজেলাব্যাপী বেওয়ারিশ কুকুরকে জলাতঙ্ক নির্মূলে প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়। অনেকের ধারণা এরপর থেকেই কুকুরের কামড়ানোর হার বেড়েছে। এটিকে টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিনা খতিয়ে দেখার আহবান সচেতন মহলের।
চাটগাঁ নিউজ/জগলুল/এআইকে