রাঙামাটি প্রতিনিধি: কয়েকদিনের টানবর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুসারে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিবাগত রাত পর্যন্ত এই পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজনই শিশু এবং ৩৫ বছর বয়সী একজন রয়েছে। বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে একই দিনে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে তিনজন শিশু ও একজন যুবক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্য পর্যন্ত সময়ে বাঘাইছড়ির কাপ্তাই হ্রদের ঢলের পানিতে এই চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত সোয়া দশটার সময় বাঘাইছড়ির সাজেকে ৭ বছর বসয়ী মিল্কি চাকমা নামের আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন ইউএনও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাচালং দিপুপাড়া এলাকায় নদীর পাড় থেকে কাওলা ত্রিপুরা (৩৫), বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতুলী এলাকা থেকে রাহুল বড়ুয়া (১০) এবং উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে উগলছড়ি বিল থেকে জুয়েল (৭) নামে এক শিশু ও সাজেকে ৭ বছর বয়সী মিল্কি চাকমা নামের আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউএনও।
এরআগে কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে মঙ্গলবার ও বুধবার বাঘাইছড়িতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তীব্র স্রোতে ভেসে দুই শিশুসহ তিন জন নিখোঁজ হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সময়ে উক্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করার পর সন্ধ্যায় বাঘাইছড়ির খেদারমারা ইউনিয়নের হীরারচর এলাকায় পানিতে ডুবে জুনি চাকমা(৭) নামে আরো এক শিশুর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ রাত দশটায় প্রাপ্ত খবরে মিল্কি চাকমার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
এদিকে, মরদেহ উদ্ধার এর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নিহতদের পরিবারবর্গকে সান্তনা দেওয়ার পাশাপাশি পরিবার প্রতি ২০ হাজার টাকা ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।
একইদিনে বাঘাইছড়ি উপজেলায় চার শিশুসহ মোট পাচঁজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উপজেলার সর্বত্রই শোকের ছায়া নেমে আসে