রাঙামাটি প্রতিনিধি: আর কয়দিন পরেই কোরবানীর ঈদ। তাই ঈদকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কোরবানীর পশুর হাটগুলো। ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক ডাকে মুখরিত হাট প্রাঙ্গন। হাটজুড়ে পাহাড়ি পশুতে ভরপুর। ক্রেতা-বিক্রেতা আর পশুর গাদাগাদিতে ঈদের আমেজে মেতে উঠেছে সংশ্লিষ্ট্ররা। আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় জেলা পার্বত্য রাঙামাটিতে এবছর অন্তত ২শ কোটি টাকার লেনদেন হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্ণধার ডা: বরুন কান্তি ধর।
দীর্ঘদিন ধরে রাঙামাটি প্রাণী সম্পদ বিভাগে কর্মরত প্রবীণ এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবছর রাঙামাটিতে প্রার্ন্তিক কৃষকরা প্রস্তুত করেছে কোরবানীর উপযোগ্য ৪০ হাজার পশু। এবার রাঙামাটি জেলায় প্রায় ২০ হাজার পশু কোরবানী দেওয়া হবে, বাকি ২০ হাজার পশু জেলার বাইরে বিক্রি করা হবে।
রাঙামাটি প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর কোরবানি হাটে পশুর স্বাস্থ্য গুণগত মান পর্যবেক্ষণে রাখতে রাখা হয়েছে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। রাঙামাটি জেলায় সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে সর্বমোট ১৯টি পশুর হাট বসানো হয়েছে। এতে নয় উপজেলায় ৯টি আর রাঙামাটি শহরে ২টি মিলিয়ে সর্বমোট ১১টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষনিকভাবে কাজ করছে।
প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, এবছর কোরবানীর পশু জবাই পরবর্তী পশুর চামড়াসহ বর্জ অপসারণের কাজে নিয়োজিত কসাই, ইমামসহ সংশ্লিষ্ট কাজের অন্তত দুইশো জনকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দিয়েছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, কোরবানির পশু হাটের ইজারাদাররা বলছেন, হাটে পর্যাপ্ত পরিমান পশু আসছে। হাটের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটে সিসিটিভি মনিটরিং এর পাশাপাশি বাজারে যাতে জাল নোটে সয়লাব না হয় তার জন্য জাল নোট সনাক্ত করণ মেশিন বসানো হয়েছে হাটগুলোতে।
এদিকে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্বধরণের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ(বিপিএম-বার) বলেছেন, এবারের কোরবানীকে কেন্দ্র করে অন্যতম পর্যটন শহর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা, পোশাকদারি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টিও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার।
আসন্ন কোরবানী ঈদ উপলক্ষে রাঙামাটিতে জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট। পাহাড়ী এলাকায় প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা কোরবানির পশুর কদর একটু বেশি। হাটে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা কোরবানির পশু পেয়ে খুশি হলেও পশুর দাম বেশি হওয়ায় হতাশ ক্রেতারা।