রাঙামাটিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যকে অপহরণের অভিযোগ

রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটি কাউখালী থেকে রুইচাউ মারমা (৭৫) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডলু এলাকা থেকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে অপহরণ করা হলেও বিষয়টি শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে জানাজানি হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, যেখান থেকে অপহরণ করা হয়েছে সে এলাকা পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ’র নিয়ন্ত্রণাধীন। ইউপিডিএফ’র সম্পৃক্ততায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

কাউখালী থানার ওসি সাইফুর রহমান সোহাগ অপহরণের বিষয়টি তিনি লোক মুখে শুনেছেন বলে জানান। তবে কারা বা কি কারণে অপহরণ করা হয়েছে তা জানাতে পারেনি। তাছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকেও কোন অভিযোগ করা হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এর আগে একই এলাকায় এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসব ঘটনায় এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডলু এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্য রুইইচাউ মারমা (৭৫) প্রকাশ ববির পিতাকে ইউপিডিএফ’র চাঁদা কালেক্টর রিমনসু ওরফে টুইক্কা মারামা ও পোষ্ট পরিচালক চাইসিউ ওরফে অভি মারমার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল গত ২৯ অক্টোবর বাড়ীর সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

অপহরণকারীরা তাকে দূর্গম বড়ইছড়ি এলাকার দিকে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে ভয়ে এতোদিন কেউ মুখ খোলেননি। বড়ইছড়ি এলাকাটি মূলত চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ গ্রুপের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কাউখালীর এ এলাকাটিতে ইউপিডিএফ যুগের পর যুগ এক ধরনের আধিপত্য ধরে রেখেছে।

তবে কি কারণে সত্তরোর্ধ এ ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কোন পক্ষই। অপহৃতের পরিবারও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অপহৃত সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রী জানান, রুইচাউ মারমা সুস্থ আছেন। খুব শীঘ্রই তাকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে মুক্তিপণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যাজাই মারমা জানান, আজ কালের মধ্যে তাকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে, বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন তথ্যই পেয়েছি। তবে কি কারণে এই বৃদ্ধাকে অপহরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে খোলাসা করতে পারেননি তিনি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইউপিডিএফ’র নেতা অমিয় চাকমা জানান, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য অপহরণের সাথে তাদের দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। কে বা কারা ঘটনা ঘটিয়ে ইউপিডিএফ’র নামে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। তিনি ইউপিডিএফ’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

চাটগাঁ নিউজ/আলমগীর/এসএ

Scroll to Top