রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে রাউজানে পথেরহাট বাজারে একদল অস্ত্রধারীর অতর্কিত গুলিতে মো. ফরিদ (৪৯) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ফরিদ বর্তমানে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফরিদ উপজেলার পশ্চিম গুজরার বদুমুন্সি পাড়া গ্রামের সৈয়দ হোসের পুত্র এবং ইউনিয়ন যুবদল নেতা ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী বলে জানা গেছে। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দক্ষিণ দিক থেকে সিএনজি অটোরিকশা ও কার যোগে পথেরহাটে এসে অতর্কিতভাবে প্রায় ২৪-২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এসময় আতঙ্কে বাজারে কেনাকাটাসহ নানা কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত নারী-পুরুষরা দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। মুহুর্তের মধ্যে আমির মার্কেট, ভারতশ্বরী প্লাজা, খায়েজ শপিং কমপ্লেক্স, স্কুল মার্কেট সহ প্রায় প্রতিটি দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক জানে আলম জনি বলেন, ডাকাত টিটু, রশিদ, হাবীব, রফিক, লোকমান, লাড্ডুম, শাহ আলমসহ ১০-১৫ জনের সশস্ত্র দলটি পথেরহাটে এসে বাজারের মোড়ে আমার নামে সাঁটানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এই সময় পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের যুবদল নেতা মো. ফরিদ বাধা দিলে তারা ফরিদকে ডান পিঠে গুলি করে, ডান হাতে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এই সময় তারা একাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
রাউজান থানার ওসি (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাউজানের উরকিরচরের জিয়া বাজার ও নোয়াপাড়া মিয়া মার্কেটের সম্মুখে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে দুই দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। দুই দলের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চাটগাঁ নিউজ/জয়নাল/এসএ