চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের এ আহ্বানকে নেতানিয়াহু অনুমোদন দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধগোষ্ঠী হামাস এক বিবৃতিতে রোজার মাসে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার সীমিত করার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেছে, ‘এই ঘোষণা পবিত্র মসজিদে প্রবেশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।’ হামাস এ বিষয়ে রবিবার জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের কট্টরপন্থী আচরণ ইহুদিবাদী অপরাধ এবং ধর্মীয় যুদ্ধের প্রতিফলন।’ তারা আরো জোর দিয়ে বলেছে, এই পরিকল্পনার অর্থ, রমজানে ইসরায়েল আল-আকসা মসজিদে আক্রমণ আরো বাড়াবে।
ইসরায়েলের চ্যানেল-১৩ এর আগে জানিয়েছে, দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ হবে, তাই নেতানিয়াহু রমজানের সময় আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন করেছেন।
মাসে শুধু সীমিতসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আল-আকসা এলাকাকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে মনে করেন ইহুদিরা। এলাকাটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।
ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘রমজানের সময় আল-আকসা মসজিদে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে, তবে এটি কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
’ বেন-গভির এর আগে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে রমজানের সময় ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এদিকে ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসায় প্রবেশ সীমিত করছে। বিশেষ করে গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রবেশ সীমিত করেছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
চাটগাঁ নিউজ/এমআর