চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির আমীর ডা: শফিকুল ইসলাম বলেন, যেই থানা পুলিশ তাদের কথিত উপরের নির্দেশে জনগণের ওপর জুলুম করেছে সেই থানাগুলো আমরা এখন পাহারা দিচ্ছি। জামায়াতে ইসলাম চায় পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুরোদমে চলুক। তার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
বিগত সাড়ে ১৫ বছর জামাতের ওপর যে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে তা আর কোন দলের প্রতি করা হয়নি। দলের দায়িত্বশীল শীর্ষ ১১ জন ব্যক্তিকে বিচারের নামে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। শত শত কর্মীকে খুন করা হয়েছে, হাজার হাজার কর্মীকে পঙ্গু করা হয়েছে, দুই নয়ন তুলে নেয়া হয়েছে, গুলি করে অন্ধ করা হয়েছে, হাত পা কেটে ফেলা হয়েছে। এই যন্ত্রণা বুকে নিয়ে চলেছি। তথাপি আমরা বলেছি কারো ওপর প্রতিশোধ নেব না। আর কাউকে সহজে নিতে দেব না। কারণ প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, প্রতিহিংসা সমাজে খুনের পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাই সামগ্রিকভাবে সকলকে ক্ষমা করে দিতে চাই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নরসিংদীর ১৯ পরিবারের সদস্যদের মাঝে সহায়তার অর্থ বিতরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। আজ সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম নরসিংদী শাখার আয়োজনে এক মত বিনিময় শেষে সহায়তার অর্থ শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
সংগঠনের নরসিংদী জেলা শাখার আমীর মুসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিনের আমীর সাইফুল আলম খান মিলন, নরসিংদী জেলা সেক্রেটারী আমজাদ হোসেন, নরসিংদী শহর শাখার আমীর মাহফুজ ভুইয়া, সেক্রেটারী আবুল বাশার খান, ছাত্র শিবির জেলা শাখার সভাপতি তাওহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারী রাকিবুল ইসলাম। এসময় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নরসিংদীর ভেলানগরে প্রথম শহীদ ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাওহিদ ইসলাম এর বাবা রফিকুল ইসলাম।
আলোচনা শেষে নরসিংদীর ১৯ শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং প্রত্যেকের হাতে এক লাখ করে সহায়তার অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে