চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: নগরীর চান্দগাঁওয়ে টার্ফ (কৃত্রিম খেলার মাঠ) নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জুবায়ের উদ্দিন বাবু (২৬) নামে এক যুবদলকর্মী নিহত হয়। এই ঘটনায় মামলা হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় আরো ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, চান্দগাঁও থানা পুলিশ উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি মামলার ১২ নম্বর আসামি এবং মৌলভী পুকুর পাড় এলাকার শফি ভান্ডারীর ছেলে
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের দুলাভাই নাজিম উদ্দিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফতাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, গতকাল টার্ফ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জুবায়ের উদ্দিন বাবু নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওইদিন রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আজ (শনিবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেসবক দলের নেতা হিসেবে পরিচিত।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর শ্যালক জুবায়ের উদ্দিন বাবু গতকাল (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চান্দগাঁও থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসের পাশেই চান্দগাঁও স্পোর্টস জোন নামে একটি টার্ফ উদ্বোধনে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে খেলার আগমুহুর্তে আসামিরা পুর্বশত্রুতার জের ধরে দেশী অস্ত্রশস্ত্রসহ টার্ফের মালিকপক্ষ, আয়োজক কমিটি ও দর্শকদের ওপর হামলা করে।
এসময় টার্ফের ভেতরে থাকা বাদীর শ্যালক জুবায়ের উদ্দিন বাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এতে আসামিরা হলেন — নুরুল আমিন, জাশেদুর রহমান নওশাদ, মো. আলফাজ, আবির রহমান রুবেল, ফয়সাল মোরশেদ, মো. ফাহিম, মো. জাহেদ, মো. নয়ন, মো. হাছান ওরফে ঢাকাইয়া হাছান, মো. পারভেজ, জয়নাল আবেদিন সাকিব, মো. নাজিম, মো. হাকিম, মো. আমজাদ, মো. সালাউদ্দিন, মুনতাছির মাহিন, কুতুব উদ্দিন জাহেদ, আরিফ মঈনুদ্দিন, মো. সোহান, মো. ফাহিম, মো. খোকন।
এছাড়াও রয়েছেন—মো. সাকিব, রনি, সাইমন, আবছার, রিয়াদ, খলিল, জুয়েল, সোহেল, রিয়াদ, খোকন, আবছার, আলী খাঁন লিটন, নেজাম উদ্দিন, মহিউদ্দিন বাবু, ইরফান, মিরাজ, তারেক, মুরসালিন এবং ফারুক। এরা সকলেই চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় চান্দগাঁও থানার পুরাতন চান্দগাঁও পাঠানিয়া গোদা এলাকায় ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের পাশে একটি টার্ফের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘাত হয়। এ সময় দুজন ছুরিকাঘাতে আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে জুবায়ের উদ্দীন বাবু নামে একজনের মৃত্যু হয়
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ
