নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’ প্রবাদ বাক্যটির বাস্তব চিত্র দেখছে দেশবাসী। এ বছর মাঘ আসার আগে থেকেই তীব্র শীতে কাঁপছে দেশ। প্রকৃতিতে শুরু হয়ে গেছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। শীতের প্রকোপে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ, যা এখন চরম আকার ধারণ করেছে।
সারা দেশের মতো সমুদ্র শহর কক্সবাজারেও এই মৌসুমের সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতি ও শুক্রবারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে আকাশ মেঘলা রয়েছে। তবে কুতুবদিয়ায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ রকম অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে পারে।
চলমান আবাহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার তুলনায় ঠাণ্ডার তীব্রতা অনেক বেশি।
এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
জানা গেছে, গেলো কয়েকদিন ধরে পর্যটন শহর কক্সবাজারে তেমন সূর্যের দেখা মিলছে না। আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) একেবারে অন্ধকার ও ঠান্ডায় পুরো জেলা কাঁপছে। দিনে-রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝড়তে থাকে শীত। এর মধ্যে মৃদু বেগে ঠাণ্ডা হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডা ও কুয়াশা হওয়ায় সড়কে গাড়ি চলাচলের সংখ্যাও কমে গেছে। অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন