সিপ্লাস ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, আজ বিশ্বে অনেক বিষয় আছে। যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট ইত্যাদি। এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো কথা হবে কি না, এটা নিয়েতো ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে রাজধানীর স্বামীবাগে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমরা কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি বাইডেনকে বোঝানোর জন্য। আজ তারা বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু করতে ভিসানীতি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কিছু করণীয় আছে কি না, তা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের নিজস্ব বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত কোনো প্রশ্ন বা হস্তক্ষেপ করেছে, এমন জানা নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছু কিছু দেশ আছে, যাদের নিজেদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়, প্রশ্ন আছে। তারা কী গণতন্ত্র শেখাবে? বাংলাদেশে কোনো কোনো মহল আছে, তাদের কাছে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থ হলো আওয়ামী লীগের পরাজিত হওয়া। আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে – এটা হলো বিএনপিসহ কিছু দলের মনোবাসনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারো ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা, এসব বিবেচনা করে নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের নজর সংবিধানের দিকে, দেশের জনগণের দিকে। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বহিঃশক্তির পরামর্শে নয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুঃসময়ে, দুঃখ-কষ্টে দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনাদের নিজেদের কখনো সংখ্যালঘু মনে করা উচিত না। অন্যান্য ধর্মের মতো আপনারাও দেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক।
এ আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, বাংলাদেশে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।