মেজর সিনহার ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

Facebook
WhatsApp
Twitter
Print

কক্সবাজার প্রতিনিধি: মেজর অবসরপ্রাপ্ত রাশেদ মোহাম্মদ সিনহার ৩য়  মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে হত্যা বিচারের রায় কার্যকরের দাবিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৩ টার সময় কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দানস্থ, শহীদ সুভাষ হলরুমে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় শতাধিক তৎকালীন টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপের নির্যাতনে শিকার হওয়া ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ভুক্তভোগীদের উদ্দেশ্য এসময় বক্তব্য রাখেন, সভাপতি সিনহার আইনজীবী এডভোকেট মোস্তফা।

অতিথি জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার  ফেরদৌসী, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম, নারী কোর্টের স্পেশাল পিপি রেজাউর রহমান, সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান, ওসি প্রদীপের হাতে নিহত উখিয়ার বখতিয়ার মেম্বার পুত্র হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক শহিদুল্লাহ মেম্বার সহ ভুক্তভোগীরা।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাংলাদেশে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার বহুল আলোচিত মামলায় কক্সবাজারের দায়রা জর্জ বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের  আদালত পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে ৬ জনের। মামলার অপর ৭ অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছে আদালত।

এদিকে ১ বছরের মধ্যে এই হত্যার রায় হলেও রায় কার্যকর না হওয়ায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন নিহত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী। তিনি বলেন, যথা দ্রুত সম্ভব আসামি তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ, লিয়াকত সহ দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। অন্যথায় তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপের নির্যাতনে মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ সহ যারা হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তারা শান্তি পাবেনা।

Scroll to Top