চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেছেন, ‘একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় আবারও একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও জনগণের সার্বিক অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। এ অভ্যুত্থানকে সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে নগরীর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। সভার আগে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, চট্টগ্রাম স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সূতিকাগার, এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মরণীয় কীর্তি ও বীরত্ব গাথা রয়েছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল বৈষম্য ও অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, সর্বস্তরের জনসাধারণ সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সবার স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন একটি মুক্ত স্বাধীন দেশ বিনির্মাণ করা। কাঙ্ক্ষিত সেই স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারিনি বলেই আমাদের মুক্তির পথে অনেক বাধা এসেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় আবারও একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও জনগণের সার্বিক অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই ২০২৪ এর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। এ অভ্যুত্থানকে সফল করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর সকালে এক নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম ও যৌথ মিত্রবাহিনীর আনন্দস্বরূপ মিলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এটাই চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবসের মূল ইতিহাস। এটি কোন জাতীয় দিবস নয়, তবে চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবিতে আনন্দমুখর পরিবেশে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. নোমান হোসেন, জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ, মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা কামাল। বিশেষ আলোচক ছিলেন ফজল বারিক। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাদিউর রহিম জাদিদ প্রমুখ।
এর আগে সার্কিট হাউস চত্বরে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ