মীরসরাই সীমান্তে বিএসএফ’র গুলি খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : মীরসরাইয়ে ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফের গুলি খেয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিহত যুবক জাহেদুল ইসলাম (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের তিন দিন পর আজ মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী নদীর পাশে লাশটি ভাসমান অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

নিহত জাহেদুল উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পূর্ব অলিনগর গ্রামের ফারুকুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত রবিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে রেখার জিরো পয়েন্টের আমলীঘাট এলাকার মেরুকুম নামকস্থানে বিএসএফ এর গুলি খেয়ে নৌকা থেকে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন তিনি।

স্থানীয়রা জানায় নিহত জাহেদুল স্থানীয় একটি চোরাকারবারীর সাথে ভারত থেকে চিনি চোরাচালানের কাজে নিয়োজিত ছিল।

জাহেদের চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমলীঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সময় চোরাই পথে চিনি আসে। সোমবার রাতে আমার ভাইপুতসহ আরো অনেকে চিনি আনতে গিয়েছিল। তখন বিএসএফের তাড়া খেয়ে সবাই চলে আসলেও আমার ভাতিজা (জাহেদ) আসেনি। সে কানে কম শুনে এবং সাঁতার জানে না। আজ সকালে তার লাশ পাওয়া গেছে।’

স্থানীয় করেরহাট ইউনিয়নেরর ইউপি সদস্য আজাদ উদ্দিন বলেন, ‘জাহেদ লেবু বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো জানতাম। রবিবার রাতে ফেনী নদীতে সে নিখোঁজ হয়েছে বলে শুনেছি। স্থানীয়দের মতে জাহেদ ভারত সীমান্ত থেকে চিনিসহ বিভিন্ন দ্রব্য চোরাচালানের কাজেও জড়িত ছিল। হয়তো কোনো কিছু আনতে গিয়ে নদীতে ডুবে গেছে।’

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায় ‘ফেনী নদীতে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

নিহতের বাবা ফারুকুল ইসলাম জানান, রবিবার রাত ১১ টা নাগাদ চিনি আনার জন্য ভারতীয় সীমান্তে যায় আমার ছেলে সহ বেশ কয়েকজন। বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে গোলাগুলি হয় শুনেছি। নৌকায় আমার ছেলে সহ ২ জন ছিল। আমার ছেলে সাঁতার না জানায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে পড়ে ডুবে যায়। অপরজন সাঁতরে পার হয়ে উপরে উঠে যায়।

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

Scroll to Top