মিরসরাই প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম ছালেকের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নির্যাতনের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে তাঁর বিচারের দাবিতে মিরসরাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় ভুক্তভোগীরা ছালেক বাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্থানীয়রা জানান, এই ধারা অব্যাহত থাকলে কিছুদিন পর ওই ওয়ার্ডে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
স্থানীয় গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, মিরসরাইয়ের ইছাখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরশরৎ এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত। এখানকার বাসিন্দারা ছালেক মেম্বারের নানামুখী অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তার রয়েছে দশ থেকে পনের জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। ওই বাহিনী দিয়ে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তিনি শারীরিক নির্যাতন, শালিস বাণিজ্য, চাঁদা আদায়, মাদক ব্যবসাসহ এমন কোন কাজ নেই যা সে করে না।
তিনি বলেন, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কখনো রাতে আবার কখনো দিনে তার বাহিনী নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন দেয়। তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এর প্রতিকার চেয়ে গত ১৪ মে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এছাড়া মমতা দাস নামে আরেক ভুক্তভুগী জানান, কিছুদিন আগে আমার ৬টি মহিষ আটক করে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছে ছালেক মেম্বার। আমি চড়া সুদে ৬০ হাজার ধার নিয়ে ছালেক মেম্বারের লোকদের হাতে তুলে দিয়েছি। শুধু আমি নই আরও অনেকের কাছ থেকে মহিষ আটক করে চাঁদা আদায় করেছে ছালেক বাহিনী।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুস ছালাম প্রকাশ ছালেক মেম্বার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিভিন্ন সময় শালিসে হেরে যাওয়া লোকজন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন বলেন, স্থানীয় মেম্বার আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে দেওয়া চরশরৎ এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য জোরারগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মেম্বার আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/বাবলু/এআইকে/এসএ