চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাহফিল দেখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার সালমা আক্তারের(১৪) গলায় গামছা পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রশিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে কিশোরীর লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে কিশোরীকে হত্যা করেছে বলে ধারনা করছেন পুলিশ।
এর আগে, গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) রাতে মাহফিলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে না আসায় এবং মাহফিলের মাইকে নিখোঁজ ঘোষণার পর স্থানীয়রা রশিকনগর খেলার মাঠে তার লাশ দেখতে পান। নিহত সালমার বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের এ অবস্থা দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ৩ যুবককে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন একই গ্রামের ইয়াসিন, সোহাগ ও শুক্কর।
কিশোরীর বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, আমার মেয়ে ৫০০ মিটার দূরে বটতলী বাজারে মসজিদের মাহফিল শুনতে সন্ধ্যা ৭টায় ছোটভাইদেরকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে মাহফিলের মাইকে ঘোষণা শুনে গ্রামের খেলার মাঠে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। পারিবারিক শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার মামলাও চলছে। তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দেড় বছর আগে ওই পরিবারের ভয়ে আমার ২ মেয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়েছিল। তবু আমার মেয়ের শেষ রক্ষা হলো না। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই।
এ বিষয়ে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি নুরুল হক চাটগাঁ নিউজকে জানান, ঘটনাটি মধ্যরাতে ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করেছে। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার মূল রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন