সিপ্লাস ডেস্ক: পর্যটন ব্যবসার আড়ালে মানবপাচারে জড়িতদের ধরতে ভারতের আট রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দেশটির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোর থেকে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, পদুচেরি, রাজস্থান এবং জম্মু-কাশ্মীরের অন্তত ৫০টি জায়গায় এই অভিযান চালানো হয়।
এনআইএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক মানবপাচারে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বাড়ি, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
এদিন জম্মু-কাশ্মীরের ভাতিন্ডি থেকে আটক করা হয়েছে জাফর আলম নামে এক রোহিঙ্গাকে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় আরেক বিদেশি নাগরিক।
বেঙ্গালুরুর কে.আর.পুরম, বেলান্দুর ও সোলাডেভানাহাল্লী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আট বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও একজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের তিন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
বারাসাতে নবপল্লির পর্যটন ব্যবসায়ী সঞ্জীব দেবের বাড়ি ও তার অফিসে তল্লাশি অভিযান চালান এনআইএ কর্মকর্তারা। তার বিরুদ্ধে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ লাখ রুপি, বেশ কিছু মোবাইল ফোন ছাড়াও বাংলাদেশি টাকা এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে এনআইএ। ৪৫ বছর বয়সী সঞ্জীব দেব পর্যটনের সঙ্গে মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসাও করতেন।
আটকের পর তাকে প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করেছেন এনআইএ কর্মকর্তারা।