মহেশখালী প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী বের করেছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা বিএনপির তিন গ্রুপ। এ তিন গ্রুফের উদ্যোগে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার পৌর সভা গোরকঘাটা সড়কে পৃথক পৃথক র্যালী শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে আবার গরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। যার উত্তাপ লেগেছে বিএনপির দুর্গ হিসাবে খ্যাত মহেশখালীতেও। মাঠ দখলে এখনই মরিয়া বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সারাদেশে ন্যায় মাঠ দখলে নিতে চায় কক্সবাজারের মহেশখালী বিএনপি।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ সময় একটি গ্রুপে নেতৃত্বে সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাস্টার আব্দুল মান্নান ও প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব রুহুল কাদের বাবুল, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা নাহিদ,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ তারেকসহ বহু নেতা কর্মী উক্ত র্যালী ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
অপর গ্রুপে অংশগ্রহণ করেন মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক চৌধুরী,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করিম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডাক্তার আব্দুল মোতালেব,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোস্তফা কামাল, যুগ্ম আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, আজিজুল করিম জয় ও জাহাঙ্গীর আলম মনি, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শফিউল আলম শফি, কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এখলাছুর রহমান, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির স হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল করিম চৌধুরী, বিএনপি নেতা আকতার চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এডভোকেট নচর উল্লাহ ও সদস্য সচিব আব্দুস সামদ।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রিয়াদ মোহাম্মদ আরাফাত হোছাইন,উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ওই দিকে তৃতীয় গ্রুফের নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি এডভোকেট নুরুল আলম,উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা ফরিদ মিয়া আরমানসহ অসংখ্যা নেতাকর্মী।
জানা গেছে, মহেশখালী বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ থাকায় কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিকের মাঝে বিরোধ থাকার পরেও প্রায় সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পৃথক পৃথক নিজেদের অনুসারীদের নিয়ে মিছিল সমাবেশ করেছেন তারা। যার কারণে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতারা। তাঁদের বিরোধ এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছেন পৃথক পৃথকভাবে।
তবে তাঁদের সাথে ৩য় গ্রুপ হিসাবে নতুন করে যোগ হয়েছে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট নুরুল আলম।
তাদের বিরোধ প্রকাশ্য চলে আসলেও দীর্ঘদিন ধরে মাঠে না থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে মিছিল-সমাবেশ করে মাঠ গরম রাখছেন এই তিন নেতা এমনটি মনে করছেন তৃর্ণমূলের বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপির রাজনৈতিকবোদ্ধরা মনে করেন দলীয় হাই কমান্ড এ বিরোদ মিমাংসা করে সবাই এক কাতারের সামিল করে রাজপথে থাকলে সরকার পতনের আন্দোলনে মহেশখালী বিএনপির দখলে থাকবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে মহেশখালী বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যেবদ্ধ। আমরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মাধ্যমে সবাই নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে আন্দোলনের মাধ্যমে এখন থেকে মাঠে সক্রিয় থাকব।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক গ্রুপের অনুসারী কালারমারছড়া বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এখলাছুর রহমান বলেন, দুঃশাসনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্যই তারা বিরোধী দলকে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা সাজানোর জন্য পরিকল্পিত ঘটনা তৈরি করাই এখন সরকারের একমাত্র কর্মসূচি। এবার হামলা মামলাকে তোয়াক্কা না করে মহেশখালী বিএনপি মাঠে থাকবে।
সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদ গ্রুপের অনুসারী উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন বলেন,হাজার হাজার নেতাকর্মীদের রাজপথে দেখে আওয়ামীলীগ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলো আলমগীর ফরিদের নেতৃত্বে সরকার পতনের আন্দোলনে আমরা রাজ পথে থাকবো।