আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে চলমান সংঘর্ষে ১ নারীসহ আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী ইম্ফলের রাস্তায় শত শত বিক্ষুব্ধ ছাত্র পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুর রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে নতুন করে সহিংসতায় কুকি-জো সম্প্রদায়ের একজন নারী এবং একজন সাবেক সৈনিক নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন। নিহত ওই নারীর নাম নেজাহোই লুংডিম এবং সাবেক ওই সৈন্যের নাম লিমখোলাল মেট। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রেজিমেন্টের সাবেক হাবিলদার।
উভয়ই মণিপুরের কাংপোকপি জেলার বাসিন্দা এবং পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারান।
এদের মধ্যে বোমার আঘাতে লুংডিমের মৃত্যু হয়। রোববার গভীর রাতে একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলাকারীরা হামলা চালালে ওই নারী ক্রসফায়ারে পড়ে মারা যান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই গ্রামে কাংপোকপির মটবুংয়ের বাসিন্দা লিমখোলাল মেটের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তার মরদেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালাচ্ছে। এসব অরাজকতার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে মণিপুরের ছাত্র-জনতা। শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদে নেমেছেন বহু মানুষ। রাজ্যে শান্তি ফেরানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তারা।
বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায়, মণিপুর সরকার সোমবার এবং মঙ্গলবার স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে এ নির্দেশ অমান্য করে সোমবার সকাল থেকেই অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন স্কুল ও কলেজের ছাত্ররা। মণিপুরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন ইম্ফলের পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য, মণিপুরে সহিংসতা শুরু হয় গত বছরের ৩ মে। কিন্তু এরপর ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও সেখানে শান্তি ফিরে আসেনি। গত সপ্তাহ থেকে রাজ্যটিতে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে এবং এতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন বেশ কয়েকজন।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে