চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে, আজ বিকাল ৩টার মধ্যে জাতীয় সংসদ ভেঙে না দিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটিয়ে যে বিজয় অর্জন করেছি এবং একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। সেই বিজয়কে নস্যাৎ করতে বিভিন্ন শক্তি ষড়যন্ত্র করছে এবং নানা ধরনের পরিকল্পনা করছে। আমরা ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, এই দেশকে ফ্যাসিবাদী রেজিম থেকে মুক্ত করতে এবং এক নতুন বাংলাদেশ গঠনে সকল ধরনের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে মুক্তিকামী ছাত্র জনতা সদা প্রস্তুত।
সোমবার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট, সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িক হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের ঘটনা রুখে দিতে আমাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে, সচেষ্ট থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দিতে না পারে।
‘গতকাল (সোমবার) রাষ্ট্রপতি অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দিলেও এখনও ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার’ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়নি’ অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, বিকাল ৩টার মধ্যে জাতীয় সংসদ ভেঙে না দিলে, আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আমরা জাতির উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করেছি। এছাড়াও অন্যতম উপদেষ্টাসহ সরকারের রূপরেখা আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। শিগগিরই জাতির সামনে সেই রূপরেখাটি উপস্থাপন করবো।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় স্থিতিশীলতা চাচ্ছি, সামাজিক ন্যায়বিচার চাচ্ছি। সেজন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, সেটির জন্য প্রথম পদক্ষেপ হবে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া। আপনারা সকলে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করুন। সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য সদা সতর্ক থাকুন।
এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ১ জুলাই হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে