সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে দলে দলে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। পুলিশের হাতে মাঝে মধ্যে আটক হলেও বেশিরভাগ সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে যায়। আর এবার কুমিরা নৌ পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশ রোহিঙ্গাদের আটক করেনি।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ-কুমিরা ফেরী ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে রোহিঙ্গারা। তারা কুমিরা এলাকায় আসার পর ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্নস্থানে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ৮/১০ জনের একটি দল সন্দ্বীপের গোপ্তছড়া থেকে লঞ্চে করে কুমিরা ঘাটে আসে। বিষয়টি কুমিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ নাছির উদ্দীনকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। সকাল সাড়ে ৭টায় সন্দ্বীপ থেকে কুমিরা ঘাটে আসা যাত্রী মোঃ আশ্রাফ উদ্দিন জানান, শিশু- মহিলাসহ ৮/১০ জনের একটি দল গোপ্তাছড়া ঘাট থেকে লঞ্চে করে কুমিরা ঘাটে আসে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে বোটে করে গোপ্তাছড়া ঘাটে আসে। তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে চলে আসে বলে স্বীকার করে। এদিকে জনৈক লঞ্চ যাত্রী আশ্রাফ উদ্দিন রোহিঙ্গা আসার বিষয়টি এ প্রতিবেদককে ফোন জানালে তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক কুমিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ নাছির উদ্দীনকে ফোনে অবহিত করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
উল্লেখ, প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা কুমিরা ঘাট দিয়ে লঞ্চ কিংবা বোটে করে দলে দলে পালিয়ে চট্টগ্রামে আসছে। এব্যাপারে কুমিরা ঘাটে নৌ পুলিশের কোন ভুমিকা দেখা যায না। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সন্দ্বীপ থেকে কুমিরা ঘাটে আসা সকল যাত্রীদের যদি নৌ পুলিশ এনআইডি কার্ড যাচাই করতো তাহলো প্রতিদিন পালিয়ে আসা অনেক রোহিঙ্গা ধরা পরতো।
চাটগাঁ নিউজ/কামরুল/এসআইএস