সিপ্লাস ডেস্ক: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বায়ু দূষণ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় শুক্র ও শনিবার দুই দিন সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই পরিস্থিতর আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার সকালে দিল্লির কোনো কোনো স্থানের বায়ুমানের সূচক (একিউআই) ছিল প্রায় ৪৭৩। একিউআই শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে বিবেচনা করা হয়। আর তা ৪০০-এর বেশি হলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর যারা অসুস্থ তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নয়াদিল্লির বাসিন্দারা শুক্রবার চোখে জ্বালা-পোড়া, গলাসহ শরীরের নানা স্থানে চুলকানির অভিযোগ করেছেন। অনেকের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে এয়ার পিউরিফায়ারের চাহিদা বাড়ায় পণ্যটির সংকট দেখা দিয়েছে।
সাধারণত শীতের সময়ে দিল্লির পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এর মূলে রয়েছে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে ফসলের অবশিষ্ট পোড়ানো। বাতাসের মাধ্যমে ওই পোড়ানো ধোঁয়া রাজধানীতে প্রবেশ করে। এ ছাড়া উৎসবের সময় পটকা ও বাজি ফোটানোয় বায়ুর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আইকিউএয়ার জানায়, আজ শুক্রবার বায়ু দূষণের সূচকে ভারতের দিল্লি সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। এরপর পাকিস্তানের লাহোর।
২০২২ সালে ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল রাজস্থানের ভিওয়াদি। এটি দেশটির উত্তরে অবস্থিত। একই সঙ্গে তা ছিল বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর। ওই বছর নয়াদিল্লি ছিল বিশ্বের চতুর্থ দূষিত শহর। প্রথম ছিল পাকিস্তানের লাহোর। দ্বিতীয় চীনের হোতান।