নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত ২৭ মে থেকে অতি বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও পরদিন ২৮ মে বৃষ্টি কমার সাথে সাথে অনেক জায়গা থেকে পানি নেমে যায়। কিন্তু নগরীর বায়েজিদ থানাধীন পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া এলাকায় পানি নামার কোন লক্ষণ নেই। কোথাও হাঁটু সমান আবার কোথাও কোমর সমান পানি। হাজিপাড়া এলাকায় এখনও পানিবন্দি প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার।
হাজিপাড়া এলাকার দুর্দশা নিয়ে সোমবার (২৭ মে) সিপ্লাসটিভিতে সংবাদ প্রচার করা হয়। এর পরদিন আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম এলাকাটি পরিদর্শনে আসেন। তখন এলাকাবাসী স্থানীয় এমপির কাছে তাঁদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন।
এ সময় আবদুচ ছালাম এমপি বলেন, দুটি কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক কারণ ও মানবসৃষ্ট কারণ। আমরা যদি নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলি তাহলে পানি তাড়াতাড়ি সরে যাবে। নালা বন্ধ থাকলে পানি আটকে দুর্ভোগ বাড়বে। তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এসময় আশেপাশের এলাকায় দেড় হাজার পরিবারের মাঝে দুপুরের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেন আবদুচ ছালাম এমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা শরীফ উদ্দিন বলেন, হাজীরপুল ইলিয়াস কলোনি এলাকায় যে ব্রিজটি আছে তা ময়লা আবর্জনায় বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে লালা খাল ও শীতল ঝর্ণা খাল দিয়ে পানি যেতে পারছে না। দশ থেকে বিশ মিনিটের বৃষ্টিতে হাঁটু থেকে কোমড় পরিমান পানি হয়ে যায়। তখন আমদের কষ্টের শেষ থাকে না।
স্থানীয় বাসিন্দা নেজাম উদ্দিন নামের আরেকজন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে হাজীপাড়া এখনো পানিবন্দি। সব জায়গায় পানি নেমে গেলেও হাজীপাড়ার পানি নামতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে যায়। আজ দুদিন রান্না করা যাচ্ছে না। মনে হয় আমাদের কোন অভিভাবক নেই।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। অথচ জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ একটুও কমেনি, বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে নগর নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতায় মাঝেও হাজার হাজার কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আদৌ জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলবে কিনা- এখন এটাই বড় প্রশ্ন নগরবাসীর।
চাটগাঁ নিউজ/টিপু/এআইকে/এসএ