বিশেষ ব্যবস্থায় সেন্টমার্টিনে পাঠানো হল ২০০ টন খাদ্য সামগ্রী

মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে নৌচলাচল বন্ধ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে সপ্তাহ ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে সেন্টমার্টিনে। ফলে দ্বীপবাসীর চাহিদা পূরণে অবশেষে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে চাল ও ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য।

প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে পাঠানো হয়েছে ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য। একই সঙ্গে টেকনাফে আটকে পড়া দেড়শ যাত্রীও ফিরে যাচ্ছে এ প্রবাল দ্বীপে।

আজ শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় দেখা যায়, কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে ভিড়ছে একের পর এক ট্রাক। এসব ট্রাকে রয়েছে চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। পরেে এমভি বারো আউলিয়া জাহাজে করে এসব খাদ্য সামগ্রী বিশেষ নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন পাঠানো হয়েছে।

মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে গেল ৯ দিন সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো যায়নি খাদ্যপণ্য। যার কারণে দ্বীপে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। অবশেষে ৯ দিন পর প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে সেখানে পৌঁছানো হচ্ছে খাদ্যপণ্য।

জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই চাল ও ডাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন নিয়ে যাচ্ছি। এখন আর দ্বীপে খাদ্য সংকট থাকবে না।

খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি দ্বীপে ফিরে যাচ্ছে টেকনাফে আটকেপড়া অনেক বাসিন্দা। নিরাপদে দ্বীপে ফিরে যেতে ব্যবস্থা করায় দারুণ খুশি তারা। তবে তাদের দাবি, জাহাজটি যাতে মিয়ানমারের সংঘাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলাচল করে।

দ্বীপের বাসিন্দা ছগির আহমদ বলেন, নিরাপদে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে পারছি, খুবই ভালো লাগছে। ১০ দিন টেকনাফে আটকে ছিলাম; এখন দ্বীপে ফিরছি।

প্রশাসন ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজে পাঠানো খাদ্য দিয়ে আগামী একমাস দ্বীপের বাসিন্দারা চলতে পারবে। আর প্রশাসন চাইলে জাহাজটি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন চলাচল করবে।

এমভি বারো আউলিয়া জাহাজের পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, প্রশাসন যতদিন চাইবে, ততদিনই কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল করবে। এ জাহাজের ১২ মাস চলাচলের সক্ষমতা রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, আপাতত বিশেষ ব্যবস্থায় খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। এসব পণ্য আগামী একমাস চলবে। পরে যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বঙ্গোপসাগর হয়ে ৪টি ট্রলারে করে টেকনাফ ফিরেছে ৩০০ যাত্রী, আর টেকনাফ থেকে দ্বীপে ফিরে যায় ২০০ বাসিন্দা।

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

Scroll to Top