বিদেশে ঘুরে লাভ হবে না, চলে যাওয়ার সময় হয়েছে : ফখরুল

সিপ্লাস ডেস্ক: বিদেশ ঘুরে ঘুরে সরকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আর ঘোরাঘুরি করে লাভ হবে না। সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ছাত্র কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন।

রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য’র উদ্যোগে এই ছাত্র কনভেনশন হয়। কনভেনশনে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার খুব আনন্দে আছে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিন ঘুরে এসেছেন, এখন ব্রাসেলস যাবেন।

চতুর্দিকে ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছে। এই ঘুরে ঘুরে যদি কোনো রকমে সামাল দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করছেন। আর ঘোরাঘুরি করে লাভ হবে না। চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।
 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের সব মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তারা সরকারের হাত থেকে বাঁচতে চায়। নির্যাতন-অত্যাচার-চুরি-দুর্নীতি, রাষ্ট্রকে ধবংস করে দেওয়া সব কিছু থেকে মানুষ এখন বাঁচতে চায়।

সরকার হটানোরে এক দফা আন্দোলনকে যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে ছাত্রসমাজকে হাত গুটিয়ে না থেকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা বড় যুদ্ধে নেমেছি।

এখন মুখে কলুপ এঁটে, হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না।’
 

সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে গতকাল বুধবার তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে গভীর রাতে দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার এবং থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর প্রতিবাদ না জানালে অপশক্তি মাথার ওপর চেপে বসবে। আজকে এ্যানিকে যেভাবে মেরেছে, কাল অন্যদের মারবে। সুতরাং সেই বোধটা নিয়ে আসতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাসহ বিচারব্যবস্থা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিসহ সর্বক্ষেত্রে সরকারের দলীয়করণ, লুটপাট ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

সরকারকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু বানিয়েছেন, আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল বানিয়েছেন, উড়াল সেতু বানিয়েছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়েছেন, লোকজন তো আপনাকেই ভোট দেবে। তাহলে দেন একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেটা আপনি করবেন না। কারণ আপনি জানেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না।’

জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে এই কনভেনশনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Scroll to Top