কক্সবাজার প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৩৩ দিন পর বিকল্প নৌরুট চালুর একদিন পর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল আবারও ব্যাহত হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) একটি নৌযানও ছেড়ে যেতে পারেনি টেকনাফ থেকে। মিয়ানমারে সংঘর্ষের জেরে ভয়ে ট্রলার ছাড়েননি মালিকরা।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেছেন,মায়ানমারে সংঘর্ষের কারণে টেকনাফের গোলারচর বিকল্প রুটের কোনও ট্রলার শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে আজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি,তবে সেন্টমার্টিন থেকে একটি ট্রলার দুপুরে নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন,পরিস্থিতি শান্ত হলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) এ রুটে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করবে,গোলারচর হয়ে এই রুটটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বর্তমানে নাইক্ষ্যংদিয়া হয়ে আগের রুটটি ফিরিয়ে আনার কোনও উপায় জানা নেই আমাদের।
গত ৬ জুন থেকে নাফ নদের মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনায় কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফ উপজেলার মধ্যে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ১৪ জুন ঈদুল আজহার আগে কক্সবাজার থেকে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে গিয়েছিল এবং পরদিন জাহাজটি ফিরে আসে। অন্যান্য কিছু ট্রলার পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের জন্য বিকল্প রুটে গিয়েছিল তবে ৬ জুন থেকে দ্বীপ ও মূল ভূখণ্ড টেকনাফের মধ্যে নিয়মিত নৌযান চলাচল বন্ধই রয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান বলেন সর্বশেষ গতকাল রবিবার টেকনাফের কায়ুকখালি খাল থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার শতাধিক যাত্রী, কয়েক বস্তা চাল-ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে সেন্টমার্টিনে গেছে। সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার ও তিনটি স্পিডবোটে প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে টেকনাফে এসেছিল।
এদিকে, নৌ পরিবহনের নিয়মিত চলাচল স্থগিত হওয়ার ফলে সেন্টমার্টিনে খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপর দিকে, সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরসভা ও এর আশপাশের এলাকা। নাফ নদের ওপারে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষের জেরে এসব ঘটনা ঘটছে।
চাটগাঁ নিউজ/আছহাব/এসএ