ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: কলেজ শিক্ষার্থী রাত্রি দত্তকে বাস চাপা দিয়ে পঙ্গু করা ঘাতক বাস চালককে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২১ জুন) দুপুরে নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কলেজের শতশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এ সময় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের এক কিলোমিটার অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে তাৎক্ষনিক এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রনেতা শোয়েবুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ফরহাদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শওকতুল আলম শওকতসহ আরো অনেকে। বক্তরা কলেজ ছাত্রী রাত্রিকে চাপা দেয়া সেই বাস চালককে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রেফতারের দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য,১৯ জুন সকালে শ্বশুরবাড়ি মানিকছড়ির তিন টহরী থেকে খাগড়াছড়ি পরিবহন নামে একটি বাসে করে পরীক্ষা দিতে কলেজে আসছিল সে। নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছলে তাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয় গাড়ির হেলপার। এসময় ঐ শিক্ষার্থী গাড়ি থামানোর কথা বললেও চালক তাতে কর্ণপাত না করে দ্রুত চালিয়ে যায়। এসময় গাড়ির চাকায় রাত্রির বাম পা সম্পূর্ণরূপে তেঁথলে যায়।
পথচারীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেই রাতে চিকিৎসার স্বার্থে পিষ্ট হওযা পা টি কেটে ফেলতে হয়।
জনা গেছে, পা হারানো রাত্রি দত্ত নাজিরহাট কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং ফটিকছড়ির মধ্যম কাঞ্চননগর গ্রামের সুরেন্দ্র মহাজন বাড়ীর মিন্টু দাসের স্ত্রী। ঘটনার পর চালক হেলপার দুইজন পালিয়ে গেলেও ঘাতক বাসটিকে জব্দ করেছে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে নাজিরহাট হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই আনিস বলেন চালককে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আসামীকে ধরতে অভিযান চলছে। আশা করছি সাহসা ধরা পড়বে।