সিপ্লাস ডেস্ক: গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে প্রায় তার দ্বিগুণের। এরপরও গত সপ্তাহে বাজার মূলধনের বড় উত্থান হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
সবশেষ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বেড়েছে।
এদিকে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯টির। আর ২০৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এরপরও ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩০ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচক বাড়ে ৫০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ২২ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা এক শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচক ৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ে।
প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচক বেড়েছে ৬ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬১০ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৭০ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৮৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৮০০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২০ কোটি ২০ লাখ ৯১ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ২২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৯ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ১১৮ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বসুন্ধরা পেপার, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইস্টার্ন হাউজিং, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, ইউনিক হোটেল এবং ওরিয়ন ফার্মা।