আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে ভারত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতেও ভারতের বাধ খুলে দেয়ার খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতেও এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্যা ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হয়নি। তারা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় এই বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা বন্যার মূল কারণ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, ডুম্বুর বাঁধটি বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এটি একটি কম উচ্চতার বাঁধ। ত্রিপুরা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর অমরপুর, সোনামুড়া এবং সোনামুরা ২-এ তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে, যেখানে গত ২১ আগস্ট থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাঁধের পানি নির্গত হয়েছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২১ আগস্ট দুপুর ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশকে বন্যা সম্পর্কিত ডেটা সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোতে বন্যা মোকাবিলায় উভয় পক্ষের ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ত্রিপুরায় টানা বৃষ্টিপাতে ডুম্বুর জলাশয়ের পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে বাঁধের গেট খুলে দেওয়া হয়। এর ফলেই বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে