বাঁশখালী পৌরসভায় খাল খননের মাটি বিক্রি! ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ ইউএনওর

Facebook
WhatsApp
Twitter
Print

বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বাঁশখালী পৌরসভায় খাল খননের মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে একাই এলাকার দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

আজ সকাল ১০ টায় পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড ও ৭নং ওয়ার্ডের সীমানাস্ত বড়ুয়া পাড়া ও আশকরিয়া পাড়ার খাল খননের মাটি রাতে কিংবা দিনে প্রচার হচ্ছে মানুষের ফসলী জমি এবং ভিটা ভরাটে। এই রকম এক চিত্র ধরা পড়ল গণমাধ্যম কর্মীর ক্যামেরায়।

এই বিষয়ে স্থানীয় লোকজন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে ও জানা যায়।

ভরা বর্ষার মৌসুমের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খনন অতি প্রয়োজনীয়। তবে খালের মাটিগুলো খালের পাড় বরাট না করে প্রকাশ্যে দিবালোকে ট্রাকে ট্রাকে বিক্রি করে দিচ্ছে । আবার এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। উক্ত এলাকায় পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক ড্রাইভারের মুখোমুখি হলে সব স্বীকার ও করেছে অন্যত্রে মাটি প্রচারের কথা। তবে গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিতি টের পেয়ে খাল খননের স্পট থেকে দ্রুত অন্য ট্রাক গুলো সরিয়ে ফেলে এবং সামান্যতম ধুলো কণা ও খালের পাড় ভরাটে ব্যবহার করছে না মাটি। পড়ে আছে মাটি কাঁটায় ব্যবহৃত এস্কেভেট টি।

এলাকার লোকজন বলেন,শুষ্ক মৌসুম দেশের সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের কার্যক্রম চালায় সরকার। কারণ বর্ষার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পানি নিষ্কাশন সহ যেকোনো ধরনের জনদুর্ভোগ থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে এই কার্যক্রম করে থাকে। বর্তমানে খালের কোন দৃশ্য ও দেখা যায় না সব কিছু দখল করে নিয়েছে স্ব স্ব জমির সম্মুখে ভূমি দস্যুরা। আবার কিছু কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি উন্নয়নকে জিম্মি করে লিপ্ত হয় নানা ধরনের অনিয়মে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, আমাদের খাল খনন খুব জরুরী ভরা বর্ষার মৌসুমে আমাদের ঘর বাড়িতে পানি উঠে যায় এবং প্লাবিত হয়। আমরা ছোটকাল থেকে দেখে আসতেছি খাল খনন করে মাঠি গুলো খালের শক্ত পাড় তৈরী করে সরকার ঔ পাড়ের উপর নানা ধরনের চারা গাছ রোপণ করে। বর্তমানে আমাদের এখানে ভিন্ন দশা, খাল খননের মাটিগুলো দিনে রাতে নির্ঘুম ভাবে ট্রাকে ট্রাকে বিক্রি করে দিচ্ছে আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাঞ্চন বড়ুয়া এবং আব্দুল গফুর। বিক্রি করে দিচ্ছে ভালো কথা তবে সামান্য সামান্য মাটি খালের পাড়ে দিলে খাল এবং আমরা ও রক্ষা পাইতাম।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাঞ্চন বড়ুয়া বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁশখালী পৌরসভা বৈঠক করেছি খাল খননের জন্য। ওই বৈঠকে রেজুলেশন আকারে পাস হয়েছে কাল খননের প্রক্রিয়া। এই ধারাবাহিকতায় আমি আর কাউন্সিলর আব্দুল গফুর মিলে খাল খনন করতেছি। তবে মাঠি বিক্রির কথা তিনি এড়িয়ে যায়।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল সবারই প্রয়োজন। তবে খাল থেকে কেউ মাঠে বিক্রি করতে পারবে না। খাল খননের মাটি খালের পাড়ে রাখতে হবে। এই ব্যাপরে পৌর মেয়রকে আমি সুপারিশ করেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

Scroll to Top