বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে শীতকালে রসালো ফল তরমুজের ব্যাপক ফলন। বর্তমানে চলছে সারা দেশে অনাবাদি জমিতে চাষের অভিযান।এরই ধারাবাহিকতা বাঁশখালীর সাগরের কোল ঘেঁষে পড়ে থাকা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা গুলোতে ব্যাপক ফল ও সবুজ শাক সবজির চাষ। এই রকম এক দৃশ্য চোখে পড়ার মত স্থান হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে রত্নপুর গ্রামে । এখানে দীর্ঘদিন যাবত পড়ে থাকা সমুদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলোতে এখন একমাত্র আশার আলো সবুজ শাকসবজি ও ফল উৎপাদন।
এখানে মৌসুম শুরু হওয়ার অনেক আগেই উৎপাদন হয় গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ, ভাঙ্কী, টমেটো সহ হরেক রকম সবুজ শাক সবজি ও ফল।
চাষীরা বললেন, এখানে গ্রীষ্মকালীন ফল শীতকালে উৎপাদন হওয়াতে বেশ লাভবান হচ্ছি। আমাদের এখানে এই জমি গুলো পড়ে থাকতো বছরের পর বছর। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের কোন জমি, চর,বিল অনাবাদি থাকবে না এটা করার পর থেকে আমরা আমাদের মত করে উৎপাদন শুরু করে দিয়েছি ফল ও সবুজ শাক সবজির চাষ। এখন আমরা বেশ লাভবান ও হয়েছি জমি গুলো ও চাষাবাদ হল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চাষিরা নিজের আপন সন্তানের মত করে লালন করে উৎপাদন করতেছে তরমুজ, টমেটো, ভাঙ্কী সহ সবুজ শাকসবজি। কারণ, অগ্রিম উৎপাদনের তাদের বেশ লাভবান ও মুখের হাঁসি উপলব্দি করার মত। অন্যদিকে যারা সমুদ্র দেখতে আসে তারা ও নিজের একমাত্র প্রকৃতিক খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করছে তরমুজ।
তবে সারের দাম,যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিলে হয়ত আমরা আরও একটু বেশী লাভবান হতাম।
এই ব্যাপরে বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিসার আবু সালেক বলেন, অফ সিজনের ফল হিসাবে বাঁশখালীতে তরমুজ সহ সবুজ শাকসবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। সারা দেশে সারের দাম একটু বৃদ্ধি হওয়াতে সামান্য কষ্ট হচ্ছে কৃষকের। বাঁশখালীতে সবজির চাষ করার জন্য আমরা ব্যাপক ট্রেনিং প্রদান করেছি। পুরো বাঁশখালী’র সাগর উপকূলীয় এলাকা জুড়ে পরিত্যক্ত জমিতে অগ্রিম যে কোন ধরনের ফল কিংবা সবজির চাষ হওয়ায় দেশের চাহিদা পূরণ করে বাহির যোগান দেয়ার জন্য সামনে প্রস্তুুত থাকবো।